উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়েছে দিলীপ ঘোষ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব কমতে থাকে বঙ্গ বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এবার বড়সড় কোপ পড়ল দিলীপের ওপর। খড়গপুরের সাংসদকে এবার সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল বঙ্গ বিজেপিতে। এই বিজেপি সাংসদকে অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও নিয়ে আসা হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। যদিও দিলীপ ঘোষের দাবি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন যাঁরা, তাঁদের নাম রাখা হয়নি কর্মসমিতির তালিকায়। অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও নিয়ে আসা হতে পারে। এমনটাও জল্পনা চলছে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সংগঠনে বড়সড় রদবদল। সর্বভারতীয় সহ সভাপতির তালিকা থেকে নাম বাদ গেল দিলীপ ঘোষের। মাত্র ৩ দিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরপর দুদিন চলে এই বৈঠক। তখন থেকে জল্পনা চলছিল বিজেপির অন্দরে বড়সড় রদবদল হতে পারে।
শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে শীর্ষ সংগঠকদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, সর্বভারতীয় সহ সভাপতির তালিকায় দিলীপ ঘোষের নাম নেই। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন যাঁরা, তাঁদের নাম রাখা হয়নি তালিকায়, যাতে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে মনোনিবেশ করতে পারেন তাঁরা।”
জানা গিয়েছে, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তৈরি করেছেন একটি নয়া কর্মসমিতি। সেই তালিকায় নাম নেই দিলীপ ঘোষের। বঙ্গ থেকে একমাত্র নাম রয়েছে অনুপম হাজরার। তাঁকে দলের রাষ্ট্রীয় সচিবের পদ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করেই কেন দিলীপ ঘোষকে সরানো হল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে পূর্ণ মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পেতে পারেন দিলীপ। খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত হতে পারে কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দিলীপ ঘোষকে আনা নিয়ে। অপরদিকে বিজেপির অপর অংশের দাবি রাজ্যের সংগঠনে ফের ফিরিয়ে আনা হতে পারে দিলীপকে।
উল্লেখ্য, বাংলায় বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পরে দুটি নির্বাচনে লড়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। সেই সময়ে রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৩। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি জিতে সাংসদ হন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয় দিলীপকে। কিন্তু এখন সেই পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হল।