উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সভাপতি, সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি, সাংসদ একের পর এক ‘পদ’ হারিয়েছেন দিলীপ (BJP Leader Dilip Ghosh)। দলের অভ্যন্তরে ‘পদহীন’ দিলীপের গুরুত্ব ক্রমেই কমছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালে বোমা ফাটালেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ। বললেন, ‘দল নির্দিষ্ট কাজ না দিলে রাজনীতিকে টাটা-বাই বাই করে দেব।’
লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফলের কারণ খুঁজতে কলকাতার সল্টলেকে কোর কমিটির বৈঠকে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। এরপর দলের নির্দেশ না থাকলেও দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে রাজ্য সফরে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। এতকিছুর পর কী এমন হল, যে দিলীপ ঘোষ রাজনীতিকে বিদায় জানাতে চাইছেন? দিলীপ ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, কলকাতায় ফিরে আসার পরে তাঁর সঙ্গে রাজ্যদলের কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে দিলীপ বলছেন, ‘আমি অন্য কারও মতো ‘প্রাক্তন’ পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারব না। যতক্ষণ দলে রয়েছি, ততক্ষণ কাজ করে গেলেও একটা সময়ের পরে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। রাজনীতি ছাড়াও সমাজের অনেক কাজ রয়েছে। আরও কিছু দিন অপেক্ষা করব। দলের পক্ষে কিছু জানানো হয় কি না, তার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে কাজ করে যাচ্ছি। আজও আমার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে অপেক্ষার তো একটা সীমা থাকে!’
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির উত্থানে দিলীপ ঘোষের ভূমিকা কতটা তা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন তুলবেন না তাঁর অতি বড় সমালোচকও। তাঁর আমলে রাজ্যে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ তে। বিধায়কের সংখ্যা পৌঁছয় ৭৭ এ। একুশের বিধানসভার পর থেকে বাংলায় ক্রমেই ফিকে হয়ে আসে গেরুয়া রং। ততদিনে অবশ্য রাজ্য সভাপতির ‘পদ’ খুইয়েছেন দিলীপ। বারবার জনসমক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমালোচনার কারণেই তাঁর পদে বসানো হয় সুকান্ত মজুমদারকে। চলতি লোকসভায় পরাজয়ের পর থেকে দলের ভেতরে আরও কোণঠাসা দিলীপ। এই আবহে দিলীপের এদিনের মন্তব্যে একটাই প্রশ্ন উঠে আসে তাহলে তিনি কি ফিরছেন সঙ্ঘে? না তেমন সম্ভবনাও নেই। সঙ্ঘের প্রচারকদের প্রচারের আলো থেকে থাকতে হয় অনেক দূরে। বর্তমানেও রাজ্যে দিলীপের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট রয়েছে। তাই সঙ্ঘে ফেরার উপায় নেই। আপাতত সকলের নজর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির আগাম পদক্ষেপের দিকে।