উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরেই বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumder) একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ঘটনায় শোরগোল সর্বত্র। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন প্রীতম।
পেশায় একজন আইটি কর্মী সৃঞ্জয়। মাসখানেক আগে দিলীপ ঘোষ এবং রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ের সময় সৃঞ্জয়ের নাম সামনে আসে। সেইসময় বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। জানিয়েছিলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা তাঁর। সেই কারণে বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। রিঙ্কু এবং দিলীপের বিয়েতে তিনি খুশি বলে জানিয়েছিলেন। এদিন নিউটাউনের সাপুরজির আবাসন থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পুত্রহারা রিঙ্কু জানান, ‘মাদার্স ডে’ উপলক্ষ্যে তাঁর জন্য কেক নিয়ে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয়। উপহারও দিয়েছিলেন। তবে সোমবার তাঁকে ফোন করে ছেলে জানান, তাঁর একা থাকতে ইচ্ছা করছে। আর এদিনই তাঁর মৃত্যু হয়।
রিঙ্কু জানান, আবাসনে দুই বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন ছেলে। তাঁদের মধ্যে একজন যুবক এবং একজন তরুণী। এদিন সৃঞ্জয়ের দুর্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। সোমবার রাতেও ছেলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ছেলে সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। অসুস্থ জানতে পেরে সকালে ফ্ল্যাটে যাই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠছিল।’
এদিন সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে ছুটে যান তাঁর বাবা, অর্থাৎ রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামী রাজা দাশগুপ্ত। পুত্রশোকে বিহ্বল ওই ব্যক্তি যদিও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজা দাশগুপ্তর বোন, অর্থাৎ সৃঞ্জয়ের পিসি জানান, তাঁর ভাইপোর স্নায়ুর সমস্যা ছিল। চিকিৎসা চলছিল। এছাড়া আর কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল না। সৃঞ্জয়ের ছোটবেলার এক বন্ধু জানান, গতকাল রাতে রুমমেটের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন ওই যুবক। ওই রুমমেট সকালে ঘুমের মধ্যে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে উঠে বসেন। তারপর তিনিই খবর দেন বাকিদের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।