উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে হেমা কমিটির রিপোর্ট। যা কার্যত মুখোশ খুলে দিয়েছে দক্ষিণী দুনিয়ার প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের। তারপরই বিনোদন দুনিয়ায় মহিলা কর্মীদের সুরক্ষা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতির মাঝেই যৌন হেনস্তার (Sexual harrasment) অভিযোগ উঠল টলিউডের পরিচালক অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) বিরুদ্ধে। যার জেরে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই মেল মারফত পরিচালককে সাসপেনশনের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সংগঠনের তরফে নোটিশে জানানো হয়েছে, পরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। যার প্রাথমিক প্রমাণও রয়েছে। সে কারণে ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার (DAEI) পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
নিজের সাসপেনশনের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অরিন্দম। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, শুটিং সেটে একটি শট বোঝাতে গিয়ে আমি অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছি। কিন্তু সেই সময় সেটের বাকি সকলে সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। এমনকি অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। যা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার এব্যাপারে মহিলা কমিশনে গিয়ে কথাও বলেছি। এমনকি এও জানিয়েছি, আমার আচরণে যদি অভিনেত্রী অপমানিত হয়ে থাকেন, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু ডিরেক্টর্স গিল্ড আমার সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অভিনেত্রী অভিযুক্ত পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন। এরপরই কমিশনের তরফে সংগঠনে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। তারপর বিষয়টি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনার পরই পরিচালককে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।