চাঁচল: চাঁচল কলেজে সাড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হল। বৃহস্পতিবার চাঁচল কলেজের অডিটোরিয়ামে বাংলা বিভাগ এবং কালচারাল সেলের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। আবৃত্তি, নাচ, গানের মধ্যে দিয়ে কবিগুরুকে স্মরণ করে চাঁচল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও অংশগ্রহণ করেন অনুষ্ঠানে। সকলে মিলে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। সেখানে গলা মেলান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষও। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনায় রবীন্দ্র দর্শন উঠে আসে।
অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা ড. তুলিকা কর রবীন্দ্র দর্শন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্র দর্শন বুঝতে পারলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। রবীন্দ্রনাথ যেভাবে জীবনকে উপলব্ধি করেছিলেন সেইভাবে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। মৃত্যুর থেকেও জীবন অনেক বড় সেটা উনি ওনার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আমরা আমাদের কাছের মানুষদের হারালে ভেঙে পরি। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র দর্শন আমাদের জীবনে ঘুরে দাড়াতে সহায়তা করবে। রবীন্দ্রনাথ নিজে জীবনে পুত্র শোক পেয়েছেন উনার চোখের সামনে উনার কাছের অনেক মানুষ মারা গেছে কিন্তু তাতে উনার সাহিত্য সাধনা থেমে থাকেনি। লেখার মাধ্যমে সেসব ব্যক্ত করেছেন।
ড. তুলিকা কর বলেন, ‘করোনা আবহে আমি আমার কাছের চারজন মানুষকে হারিয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভেঙে পড়েছিলাম। সেই সময় নিজের জীবনে রবীন্দ্র দর্শনকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। তাই ঘুরে দাড়াতে পেরেছি। রবীন্দ্র দর্শন একটাই কথা বলে জীবনে থেমে থাকা চলবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই দর্শন নিয়ে চর্চা হয় না। এর জন্য অনেক পড়াশোনা করতে হবে। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করলাম।‘ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দু’দিন পর রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করছি। এর কারণ ওই দিন সকলেই করে। কিন্তু আমার মতে প্রত্যেকদিন ‘রবি’বার। তাই রবি ঠাকুরকে যে কোনওদিন স্মরণ করা যায়।‘