সানি সরকার, শিলিগুড়ি: নির্দেশিকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (SJDA) চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নিলেন দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক ডাঃ প্রীতি গোয়েল। ফলে শনিবার থেকে এসজেডিএর শীর্ষ স্তরে শুরু হল প্রশাসক ব্যবস্থা। শুক্রবার কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও শনিবার স্পষ্ট হয়ে যায়, চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীকে। ১৯৮০-র ১ এপ্রিল এসজেডিএর পথচলার শুরুতে চেয়ারম্যান ছিলেন তৎকালীন ডিভিশনাল ম্যানেজার। পরবর্তীতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা জনপ্রতিনিধরাই চেয়ারম্যান পদে প্রাধান্য পেয়েছেন। উন্নয়ন সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদে বদল ঘটলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বোর্ড। অর্থাৎ বোর্ড সদস্যদের সরানো হয়নি বা নতুন মুখ আনা হয়নি। দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক বলেন, ‘এদিন দায়িত্ব নিয়েছি। তবে কবে বৈঠক ডাকা হবে, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ এসজেডিএ আধিকারিকদের ধারণা, জেলা শাসকের নেতৃত্বে চলতি মাসেই বৈঠক হতে চলেছে।
সৌরভকে সরিয়ে গৌতম দেবকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশিকার পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু এই যাত্রায় এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদে ফিরে আসা হচ্ছে না আলিপুরদুয়ারের সৌরবের। কেননা, নবান্নের নির্দেশ পেয়ে শনিবারই চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব বুঝে নেন দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক। শনিবার দুপুরে সংস্থার প্রশাসনির ভবনে পৌঁছান জেলা শাসক। তাঁকে সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহি আধিকারিক অভিজিৎ সেভালে সহ আধিকারিকরা স্বাগত জানান। এরপরেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে দায়িত্ব বুঝে নেন জেলা শাসক। যদিও সেসময় সৌরভ বা বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না বলে এসজেডিএ সূত্রে খবর। শুক্রবার সৌরভের অপসারণ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও তাঁকে যে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা এদিন স্পষ্ট হয়ে যায়। এক আধিকারিক বলেন, ‘পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, আগের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তাঁকে যে অপসারিত করা হয়েছে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্পষ্ট বুঝতে পারেন সৌরভও। তাই শনিবার তিনি বলছেন, ‘এখন সংগঠনে বেশি নজর দেবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দেবেন, তা পালন করে যাব।’
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় ফিরে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলার সাংগঠনিক অবস্থা এবং লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এসজেডিএর চেয়ারম্যান পদ থেকে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোপ পড়তে পারে আরও কয়েকজনের ক্ষেত্রে। রদবদল ঘটতে পারে জেলা কমিটিগুলিতেও। ফলে অনেকের মধ্যেই পদ যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।