নয়াদিল্লি: ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকলে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে অসুবিধা নেই পরীক্ষার্থীদের, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চ্যালেঞ্জের বিপক্ষে গিয়ে একদা হাইকোর্টের নির্দেশেই সহমত প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিএড-এর প্রশিক্ষণ রয়েছে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণও রয়েছে। অথচ ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় বসা এমন বহু পরীক্ষার্থীই তাঁদের ফর্মে শুধু বিএড প্রশিক্ষণের উল্লেখ করেছিলেন। সেই জটিলতার পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা।
২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ডিএলএডের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিধারীরাও প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন। সুমন্ত কোলে-সহ আরও ১১ জন চাকরিপ্রার্থীর বিএড এবং ডিএলএড উভয় ডিগ্রিই ছিল। তারা বিএড ডিগ্রি উল্লেখ করেছিলেন ফর্ম ফিলাপে। কিন্তু প্যানেলে তাদের নাম না আসায় আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে আরও অনেকে মামলার সঙ্গে যুক্ত হন।
এরই মধ্যে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা সুযোগ পাবেন না।
যার ফলে বিপাকে পড়ে যান সুমন্ত সহ অনেক প্রার্থী। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল, বিএড ও ডিএলএড ডিগ্রি থাকা মামলাকারীর ১২ জন যোগ্য হলে তাদের জন্য আলাদা প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। এর পরে ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট ।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ওই সংক্রান্ত জটিলতা কাটল। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, পরীক্ষার্থীরা ফর্মে যাই লিখে থাকুন, ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলেই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।