উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চোপড়ায় যুগলকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ওরফে জেসিবি। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) হাতে গাছের ডাল নিয়ে রাস্তায় ফেলে এক পুরুষ ও এক মহিলাকে নৃশংশ ভাবে মারধর করতে দেখা গিয়েছে জেসিবিকে। শুধু তাই নয়। পরে ভাইরাল হওয়া আরও একাধিক ভিডিওয় জেসিবিকে রীতিমতো পুরুষ ও মহিলাদের হাত বেঁধে অত্যাচার চালাতে দেখা গিয়েছে। চোপড়ার লক্ষ্মীপাড়া এলাকার এই তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তাকে নিয়ে চর্চা থামছে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে এই জেসিবি? এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, লম্বা চওড়া চেহারা, এই চেহারার সুবাদেই নাকি তাজিমুলকে জেসিবি নাম দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। অনেকে আবার বলছেন জেসিবি দিয়ে যেমন সবটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, তেমনি তাজিমুলের ক্ষমতা কতটা তা বোঝাতে নিজেই নাম রেখেছিলেন জেসিবি। এলাকাবাসীরা যাই বলুন না কেন, তাজিমুলের শরীরী ভাষার সঙ্গে অনেকেই মিল পেয়েছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখের।
কীভাবে এলাকায় এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠল জেসিবি? পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ সাল থেকে শাসকদলের রাজনৈতিক বৃত্তে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে জেসিবি। ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সে। বিধায়কের আশীর্বাদে চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে অঘোষিত বিধাতা হয়ে ওঠেন তাজিমুল। এলাকায় গ্রাম্য বিবাদ থেকে পরকিয়া সবটাই নিয়ন্ত্রণ করত এই জেসিবি। খুন সহ ১২টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে ওসমান গনি নামে এক যুবককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের এক সিপিএম কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগেও নাম জড়িয়েছিল জেসিবির। অভিযোগ, পরিত্যক্ত চা বাগানের জমি বিক্রি থেকে এলাকায় তোলাবাজি সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন লক্ষ্মীপুরের এই বেতাজ বাদশা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুলি চালিয়ে এক সিপিএম কর্মীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন এই জেসিবি। কিন্তু কিছুদিন পরই ছাড়া পেয়ে যান তিনি।