শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: গরুমারা, জলদাপাড়ার পাশাপাশি চিলাপাতায় জঙ্গলে ঢুকতে অনলাইনে টিকিট বুকিং (Online Ticket Booking) বন্ধ। জঙ্গলের অন্দরে প্রবেশানুমতি না পেয়ে বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করছেন। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ডুয়ার্সের পর্যটন (Dooars Tourism)। উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি জানান, অনলাইনে টিকিট বুকিং সাইটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপাতত টিকিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এখন পর্যটন মরশুম চলছে। এ সময় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অনলাইনে টিকিট দেওয়া বন্ধ থাকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে পর্যটন মহলে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই পর্যটকদের ভিড়ে উপচে পড়ছে ডুয়ার্স। এতে একদিকে খুশি ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তাঁদের কপালের ভাঁজ চওড়া করেছে অনলাইনে জঙ্গল ভ্রমণের টিকিট না মেলার বিষয়টি। পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে বন দপ্তর থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জঙ্গল যেমন গরুমারা, জলদাপাড়া, চিলাপাতায় ঢোকার টিকিট অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এ মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত পর্যটকরা চাইলেই জঙ্গলে ঢোকার জন্য অনলাইনে আগাম টিকিট কাটতে পারছেন। কিন্তু ২৭ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আগাম টিকিট কাটা যাচ্ছে না। ফলে টিকিট না মেলায় বহু পর্যটক হোটেল, গাড়ি ইত্যাদি বুকিং বাতিল করছেন বলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহকারী সভাপতি জীবন ভৌমিকের অভিযোগ, ডুয়ার্সে মূলত জঙ্গলকেন্দ্রিক পর্যটকরা ভিড় করেন। অথচ তাঁরা ২৭ জানুয়ারি বা পরবর্তী দিনগুলির জঙ্গলে ঢোকার অনলাইলে আগাম টিকিট কাটতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বন দপ্তরের বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করেও টিকিট না মেলার কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না পর্যটকরা। জঙ্গলে ঢোকার আগাম টিকিট না পেয়ে এখন অবধি বহু পর্যটক ডুয়ার্স ভ্রমণ বাতিল করেছেন। এজন্য এখন অবধি কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেবের অভিযোগ, ডুয়ার্সে গোটা জানুয়ারি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ২৬ জানুয়ারি সরকারি ছুটি থাকায় পরবর্তী কয়েকদিন বেশ ভিড় থাকে। অথচ সেই সময় পর্যটকরা জঙ্গলে ঢোকার আগাম টিকিট পাচ্ছেন না। এজন্য পর্যটন ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে যাতে পর্যটকরা টিকিট পান দিব্যেন্দুবাবু তেমনই দাবি করেন।