অনির্বাণ চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ: সূর্য ডুবলেই বসে নেশার আসর। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। মাঠের একপাশে পুরসভা হাইমাস্ট লাইট বসিয়েছে। তার পাশে পুরসভা তৈরি করছে একটি বাজার। তার ছাদেও বসে রঙিন জলপানের বৈঠক। মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান চালায়। আসর থেকে ধরেও নিয়ে যায়। জলপানের ‘জলসাঘর’ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয়। সুরাপ্রেমীকদের ফেলে দেওয়া কাচের বোতলে অনেকের পা কাটছে।
ওই মাঠের অদূরে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ব্লক তৃণমূল কার্যালয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জলপানের জলসায় বাইরের ছেলেরাও যোগ দেয়। আসরে এমন কোনও নেশার সামগ্রী নেই, যার আমদানি হয় না। মদ, গাঁজা তো আছে। সেই সঙ্গে হেরোইন, ব্রাউন সুগার। ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জে ভরে গিয়েছে নির্মিয়মাণ পুর মার্কেট এলাকা। পাড়ার বাসিন্দারা রাতে মাঠ দিয়ে হেঁটে যেতে রীতিমতো ভয় পান।
কালিয়াগঞ্জ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা স্টেশন রোড সংলগ্ন আবাসিকা ভবন অঞ্চল। দিনে সবজির বাজার বসলেও রাত হতেই চরিত্র পালটে ফেলে এই ১ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকা। ব্যাংক, ভবন, তৃণমূল ব্লক কার্যালয় বেষ্টিত এই এলাকায় সূর্য ডুবলেই জমে ওঠে অসামাজিক কার্যকলাপ।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ সহমত প্রকাশ করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সোমাদেব চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিন আগে পাড়ার একটি সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ বিবাদে জড়িয়ে যায়। সেই ঝামেলায় একজন পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখায়। পুরপ্রধান রামনিবাস সাহা এবং কালিয়াগঞ্জ থানাকে অবগত করানো হয়েছে। আশা করব, প্রশাসন দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করবে।’
পুরপ্রধান রামনিবাস সাহা বলেন, কালিয়াগঞ্জ থানাকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানাব।’