Drinking Water Crisis | জলে আয়রনের পুরু স্তর! বাধ্য হয়ে ৬ মাস ধরে তাই খাচ্ছেন বাসিন্দারা

বক্সিরহাট: ছ’মাস ধরে তীব্র জল সংকটে (Drinking Water Crisis) ভুগছেন তুফানগঞ্জ-২ (Tufanganj) ব্লকের শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবিতে ধর্মগোলা সংলগ্ন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ। ফলে ওই রাজ্য সড়ক এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় শালবাড়ি এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবারের বাস। এলাকার বাড়ি বাড়ি নতুন জলসংযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে পুরোনো জলসংযোগ খুলে বসানো হয়েছে নতুন পাইপ। তবে হরিপুর-কামাখ্যাগুড়ি রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করে জেলা পূর্ত(সড়ক) দপ্তর। এই রাস্তা সংস্কারের ফলে অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের পাইপ ফেটে গিয়েছে। তাই ছ’মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পানীয় জল পরিষেবা। জলের অভাবে বাধ্য হয়ে গভীর নলকূপের আয়রনযুক্ত জল খেতে হচ্ছে তাঁদের। সেই জল খেয়ে চর্মরোগ ও পেটের অসুখে পড়েছেন অনেকে। সকলের পক্ষে দোকান থেকে জল কিনে আনা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে এসে খাচ্ছেন তাঁরা। পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বহুবার জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

এব্যাপারে শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরঞ্জন বাড়িয়া বলেন, ‘গ্রামবাসীদের সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করব।’ জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের তুফানগঞ্জ শাখার সহকারী বাস্তুকার তরুব্রত রায় বলেন, ‘রাস্তা  সংস্কারের ফলে মাঝেমধ্যেই পানীয় জলের পাইপ ফেটে যাচ্ছে। তবুও আমরা সেগুলি মেরামতের কাজ করছি। শীঘ্রই পানীয় জলের সমস্যা মিটে যাবে।’