গোপাল মণ্ডল, বানারহাট: এগারোদিন ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ (Drinking Water Problem)। যে কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চামুর্চির ফরেস্ট বস্তির ১০০-রও বেশি পরিবারকে। স্নান, জামাকাপড় ধোয়া, বাসন মাজা সহ দৈনন্দিন নানা কাজের জন্য এক কিমি দূর থেকে জল আনতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জমছে এলাকায়। সকলেই চাইছেন, দ্রুত সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করা হোক। জল সরবরাহের দায়িত্বে থাকা এক পিএইচইর কর্মী জানালেন, সোমবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেস্ট বস্তি এলাকায় প্রায় পাঁচশো বাসিন্দার বসবাস। তাঁরা পিএইচইর জলের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এগারোদিন ধরে এখানে জল তোলার মোটর বিকল হয়ে থাকায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, মোটর মেরামতে টালবাহানা চলছে। যে কারণে ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কবে সমস্যা মিটবে, এবিষয়ে কোনও সদুত্তর মিলছে না। সোমবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
ফরেস্ট বস্তির বাসিন্দা রিনা প্রধানের কথায়, ‘এগারোদিন পার হতে চলেছে, অথচ পরিষেবা স্বাভাবিক করার কোনও উদ্যোগ নেই। এক কিমি দূরের বাজারে গিয়ে পানীয় জল বয়ে আনতে হচ্ছে।’ অপর বাসিন্দা রুদ্র ছেত্রী বললেন, ‘এতদিন ধরে ফরেস্ট বস্তিতে জল মিলছে না। অথচ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না। এলাকায় পানীয় জলের ট্যাংকের বন্দোবস্ত করা হলে জল আনতে এত দূরে যেতে হত না। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত।’
এবিষয়ে চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সংগীতা কামির বক্তব্য, ‘সমস্যা সমাধানে আমি জল সররাহের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ এদিকে, পিএইচই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেস্ট বস্তি এলাকায় সোমবার থেকে পানীয় জল পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।