বক্সিরহাট: একটানা বৃষ্টির(Rain) ফলে রসিকবিল- তুফানগঞ্জ রাজ্য সড়কের মাঝে থাকা কালভার্টের ওপর দিয়ে বইছে জল। হাঁটু সমান জল ডিঙিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদের। প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন থেকে পথ চলতি মানুষদের জল পেরিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। এতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বৃষ্টির জেরে রাজ্য সড়কের ওই অংশে মরণফাঁদ তৈরি হয়েছে। নীচু কালভার্টটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি সকলের কাছে অনুরোধ করেও কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। তাতেই বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ জন্মেছে।
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রসিকবিল থেকে তুফানগঞ্জ সংযোগকারী রাজ্য সড়কের মাঝে রয়েছে একটি কালভার্ট। সেটি অনেকটাই নীচু থাকার ফলে ফি বছর বর্ষায় সেই কালভার্টের ওপর দিয়ে জলের স্রোত বইতে শুরু করে। সম্প্রতি ওই রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও কালভার্টি সংস্কারে কোনরকম উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। লাগাতার বৃষ্টির ফলে পুনরায় সেই কালভার্টের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে জল। আর তাতেই কোনটা রাস্তা আর কোনটা গর্ত তা বোঝাই দায় হয়ে উঠেছে। ওই রাস্তার ধারেই রয়েছে বোচামারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিদিন হাঁটু সমান জল ডিঙিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে অসংখ্য স্কুল পড়ুয়ারা।
বোচামারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বরূপ বর্মা বলেন, ‘হালকা বৃষ্টি হতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে সেই কালভার্ট। যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কালভার্টটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।‘
নবম শ্রেণির ছাত্রী অনামিকা গোপ বলেন, ‘বেশি বৃষ্টি হলেই কালভার্টে জল জমে যায়। তখন স্কুলে যাতায়াত বন্ধ। এখন একটু জল কম তাই সকলে মিলে কোনওরকমে ওই জায়গাটুকু পার হই। স্কুলের জামা কাপড় ভিজে যায়।‘
এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ ২ এর বিডিও ডালকি লামা বলেন, ‘এই নিয়ে এলাকাবাসীর তরফে কোনও আবেদন জমা পরেনি। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপর মহলে জানানো হবে।‘