কিশনগঞ্জঃ ওসির সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় বকলমে থানার দায়িত্ব সামলাতেন থানার গাড়ির চালক। এরফলে নষ্ট হচ্ছিল থানার গোপনীয়তা। এই অভিযোগেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন কিশনগঞ্জের নেপাল সীমান্তের জিয়াপোখর থানার মহিলা ওসি সঞ্জনা প্রসাদ। সঞ্জনার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, নানান অবৈধ কার্যকলাপ ও পুলিশকর্মী না হয়েও গাড়ির চালককে দিয়ে বেআইনি কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। শনিবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন কিশনগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ডাঃ এমানুল হক মেগনু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে জিয়া পোখর থানার দায়িত্ব নেন সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জনা প্রসাদ। বেশ কয়েক মাস ধরে সঞ্জনার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে থানারই চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালক আমন কুমার হরিজনের বলে অভিযোগ। ওসির সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে থানায় তাঁর প্রভাব চলত। খুব সহজেই সে জানতে পেরে যেতো থানার প্রতিটি গোপন তথ্য। এরফলে অনেক ক্ষেত্রেই তদন্ত করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল পুলিশকে। থানার ওসির মদত থাকায় অন্য পুলিশকর্মীরা গাড়ি চালক আমনকে কিছু বলার সাহস পেতেন না।
এমন বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসতেই পুলিশ সুপার ডাঃ এমানুল হক মেগনু ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকদের দিয়ে গোপনে তদন্ত করান। সেই তদন্তে অভিযোগ প্রমান হতেই শনিবার সঞ্জনা প্রসাদকে সাময়িক বরখাস্ত করেন তিনি। জিয়া পোখর থানা থেকে তাঁকে সরিয়ে সেই জায়গায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় সুখানি থানার ওসি রামলাল ভারতীকে।