উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মালদার (Malda) দাপুটে তৃণমূল (TMC) নেতা দুলাল সরকার খুনে (Dulal Sarkar Murder Case) ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে। গ্রেপ্তার হওয়ার পরই নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেছিলেন, ‘আরও বড় মাথা আছে। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ এবার কার্যত সেই একই কথা বললেন দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার।
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই, শেষটা দেখতে চাইছি। আরও কারা কারা আছে। এর সঙ্গে আরও কেউ আছে। ঘটনার যে নৃশংসতা, আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি অ্যাডভোকেট। এতে আরও মানুষ যুক্ত আছে। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি হচ্ছে না বলব না। তবে দল, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। এক এক করে ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে। অপেক্ষায় আছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করব। স্মরণসভা রয়েছে। রাজ্য সভাপতি আসবেন। আমার যা অভিযোগ পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে বলব, নেত্রীকে বলব। ক্যামেরার সামনে বলব।’
যদিও বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিই মূল চক্রী। দুলাল সরকারকে খুন করতে ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তবে এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। এখনও ফেরার রয়েছেন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁরা দু’জন ধরা পড়লে রহস্যের জট আরও খুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি খুন হন ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার তথা ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।