রাজা বন্দোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ছেলে সহ গ্রেপ্তার (Arrest) করা হল পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর (Durgapur) পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারকে। ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলারের নাম মানস রায়। ছেলে অভ্রনীল রায় সহ মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন কাউন্সিলার ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মন্ত্রী ও সাংসদের নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। দুর্গাপুর-বর্ধমানের সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম করে মোবাইল কেনার অভিযোগ উঠেছে ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নাম করেও আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে সাংসদের বক্তব্য, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক ঠিক কি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে ইস্পাতনগরীতে। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের কথায়, ‘আর্থিক প্রতারণায় শাসক দলের প্রাক্তন কাউন্সিলারকে ছেলে সহ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ পুলিশ সেই ঘটনা থেকে শাসক দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’ যদিও দলের প্রাক্তন কাউন্সিলারের পাশে দাঁড়াল না তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, প্রাক্তন কাউন্সিলার বেশ কিছুদিন ধরে এই ধরনের কাজ করছিলেন। পুলিশ প্রশাসন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে রেয়াত করেন না। প্রসঙ্গত, ধৃত মানস রায় ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন।