সৌরভ কুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পরিস্রুত পানীয় জলে কেঁচো! হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের অর্জুনা গ্রামের ঘটনা। আতঙ্কে পিএইচই-র জল পান করা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। যদিও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দাবি, গ্রামেগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসচেতন মানুষ পানীয় জলের স্ট্যান্ড পোস্টগুলিকে ভেঙ্গে দেওয়ার কারণে সেই ভাঙা অংশগুলি দিয়ে কেঁচো ও অন্য পোকামাকড় পাইপ লাইনে ঢুকে পড়ছে।
অভিযোগ, পিএইচইর পানীয় জলের রিজার্ভার সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না। দীর্ঘদিন ধরে জল সরবরাহের ক্ষেত্রে বেনিয়ম করছে পিএইচই কর্তৃপক্ষ। জল ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের ক্ষেত্রে। মাখনা এবং ধানের জমিতে দেওয়া হচ্ছে জল। কিন্তু তারপরেও চুপ ছিলেন এলাকাবাসী। এবার জলে কেঁচো পাওয়া যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
বিক্ষোভকারী বেগম বিবি বলেন, ‘পিএইচই বহুদিন ধরে ঠিকভাবে জল সরবরাহ করছে না। এবার তো আমরা আতঙ্কে সেই জল পান করাই বন্ধ করে দিয়েছি।’ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর বিডিও বিজয় গিরি। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এবিষয়ে জানানো হবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষ বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। তবে আমাদের ওভারহেড রিজার্ভার থেকে এই ধরনের পোকামাকড় বেরোনোর সম্ভাবনা থাকে না। গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিছু মানুষ জলের স্ট্যান্ড পোস্টগুলির পাইপলাইন ভেঙে দিচ্ছেন। আর এই পাইপ লাইনের ভাঙ্গা অংশ দিয়েই কেঁচো এবং অন্য পোকামাকড় জলের মূল পাইপ লাইনে ঢুকে পড়ছে। বারবার এই বিষয়ে সচেতন করতেও কোন কাজ হচ্ছে না।’