উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ টানা পাঁচটি ম্যাচে হারের পরে ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ পদে তিনি আর থাকবেন কিনা তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। সমর্থকরাও কোয়াদ্রাতের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ। তাঁরা ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে কোচ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নিজেই সরে গেলেন কোয়াদ্রাত। পদত্যাগ করলেন হেড কোচ। শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তী কোচ হচ্ছেন বিনো জর্জ।
বিদায় নিলেন কার্লোস কোয়াদ্রাত। সোমবার বিকেলের দিকে বিনিয়োগকারী কর্তাদের সঙ্গে ক্লাবকর্তাদের আলোচনায় বসার কথা ছিল। যা পরিস্থিতি তাতে কোয়াদ্রাতকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পথেই হাটছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না। রাজি করাতে হবে স্প্যানিশ কোচকেও। কারণ পুরো বকেয়া বেতন ও ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে টাকার অঙ্ক যথেষ্ট। তাই দুই তরফের মতানৈক্য না হলে ওই বিশাল টাকা দিয়ে তাঁকে সরাতে হবে। সমর্থকরাও কোয়াদ্রাতের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ। তাঁরা ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে কোচ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। সবথেকে বড় কথা, ফুটবলারদের উপরও তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। কোচের বারবার নিজেকে সেরা কোচ বলে জাহির করার চেষ্টাও আর ভালোভাবে নেয়নি ম্যানেজমেন্টও। এসব কিছু বুঝে কোচ নিজে সরে যেতে রাজি হয়ে গেলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের।
এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে নিজেই হেড কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কোয়াদ্রাত। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে ইস্টবেঙ্গলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। মুখ খোলেননি কোয়াদ্রাত নিজেও। আপাতত যা খবর মিলেছে, তাতে কুয়াদ্রাত চলে যাওয়ার পরে আপাতত ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলাবেন জুনিয়র দলের কোচ বিনো জর্জ। তাঁকে অন্তবর্তী কোচের পদে বসানো হচ্ছে। ডার্বির আগেই নতুন কোচের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
গত বছর ইস্টবেঙ্গলকে কলিঙ্গ সুপার কাপ জেতানোর অন্যতম কান্ডারি ছিলেন কোয়াদ্রাত। এক দশকের যে ট্রফি খরা ছিল, সেটা কাটিয়ে মশাল জ্বালিয়েছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের নয়নের মণি। কিন্তু কোয়াদ্রাতের প্রশিক্ষণে টানা পাঁচটি ম্যাচে হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের প্রথম তিনটি ম্যাচেই হেরে গিয়েছে। ডুরান্ত কাপ এবং এফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র প্রিলিমিনারি স্টেজের প্লে-অফেও হতাশ করেছে ইস্টবেঙ্গল। টানা পাঁচটি ম্যাচে হারের বিষয়টি ভালো চোখে দেখা হচ্ছিল না। চাপ বাড়ছিল কোয়াদ্রাতের উপরেও। এমনকী গত ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে হারের পরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও তোলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। আর তারপর আজ ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন কোয়াদ্রাত।