কলকাতা: শেষ কবে ইস্টবেঙ্গল এতটা দাপট নিয়ে ডার্বি জিতেছে ফুটবলপ্রেমীরা মনে করতে পারছেন না। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো দাপিয়ে গেল তারা। ডার্বি জয়ের পরে স্বভাবতই খুশি লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা। সেই আনন্দের রেশ ধরে ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো বলেছেন, ‘মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ সবসময় একটা যুদ্ধের মতো। যত গোলেই জিতি না কেন, জয়টাই সবসময় আসল। আমি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, ‘কোচ হিসেবে এটা আমার প্রথম ডার্বি নয়। এর আগে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট লিগ, জুনিয়ার লিগের ডার্বিও খেলেছি। সব মিলিয়ে মোট ৬টা ডার্বি খেলেছি, যার মধ্যে হার মাত্র একটাতে।’”
দলের গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত বলে মনে করেন বিনো। তিনি বলেছেন, ‘আরও গোল হতে পারত। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। তাছাড়া দলের অনেক খেলোয়াড় আজই প্রথমবার ডার্বি খেলেছে।’ কলকাতা লিগকে সবসময় কঠিন প্রতিযোগিতা বলে মনে করেন লাল-হলুদ কোচ। সেইসঙ্গে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন ডেভিড লালহালাসাঙ্গার পারফরমেন্সে আমি খুশি। তিনি বলেন, ‘ডেভিড দলের সঙ্গে মাত্র পাঁচদিন প্র্যাকটিস করেছে। ওর পারফরমেন্সে আমি খুশি।’ লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিনো রেফারিং নিয়ে কোনও অভিযোগ করেননি।
একদিকে বিনো নিজেকে সুখী মানুষ বলে দাবি করছেন, তখন অন্যদিকে দলের পরাজয়ে হতাশ মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কোচ ডেগি কার্ডোজা। তিনি দীপেন্দু বিশ্বাসকে তুলে নেওয়াটাকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করছেন। কার্ডোজা বলেছেন, ‘দীপেন্দু এখনও ফিট নয়। এদিন প্রথমার্ধে ফের চোট লাগে। তাই ওকে তুলে নিতে বাধ্য হয়। দীপেন্দু উঠে যাওয়ার পর দলের রক্ষণ অগোছাল হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বল পজেশন ধরে রাখতে পারিনি। তার ওপর ওরা দুই প্রান্ত দিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছে।’