কলকাতা: ‘আনোয়ার কি আজ অনুশীলনে নামবে?’ রাজারহাটের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন দেখতে আসা সমর্থকদের মধ্যে এটিই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ উত্তরটি তাঁরা পেলেন। প্রভসুখান সিং গিল ও গুরসিমরত সিং গিলের সঙ্গে একই গাড়িতে চড়ে অনুশীলনে আসেন আনোয়ার।
১৮ অগাস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে কি তাঁকে দেখতে পাওয়া যাবে? সমর্থকদের মনে জাগা এই প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া এই মুহূর্তে কঠিন। প্রথমদিন অনুশীলন দেখে মনে হল প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস এইমুহূর্তে আনোয়ারের নেই। যদিও তাঁকে নিয়ে কোচ কার্লোস কোয়াদ্রাত বলে যান, ‘আনোয়ার ফিট।’
এক ঘণ্টার কিছুক্ষণ বেশি সময়ের অনুশীলন বেশ চনমনে দেখাল তাঁকে। এমনকি অনুশীলন শেষে বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াতেও দেখা যায় তাঁকে। বোঝাই যাচ্ছে, ম্যাচে তাঁকে খেলানো যাবে কি না, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে চায় লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট।
আনোয়ারের পাশাপাশি অনুশীলনে নজর কাড়ার মতো আরও একটি ব্যাপার চোখে পড়ে। গোটা দলকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন কোয়াদ্রাত। তাতে দুটি দল গড়েন রক্ষণভাগের ফুটবলারদের নিয়ে। আরেকটি দলে ছিলেন মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস, মাদিহ তালালদের নিয়ে গড়া তৃতীয় দলটি সহকারী কোচ দিমাস দেলগাডোর তত্ত্বাবধানে আক্রমণে বৈচিত্র্য আনার অনুশীলন করে। অন্যদিকে বাকি দুটি দল নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন কোয়াদ্রাত। প্রভাত লাকরা, জিকসন সিং, আনোয়ার ও মার্ক জোথানপুইয়া- এই চার ডিফেন্ডারকে নিয়ে যেমন সিচুয়েশন অনুশীলন হয়, তেমনই লালচুংনুঙ্গা, হিজাজি মাহের ও গুরসিমরতকে নিয়ে বানানো রক্ষণভাগও সমান তালে অনুশীলন করেন। বোঝা যাচ্ছিল, অল্টিন অসিরের বিরুদ্ধে এসিএল টুয়ের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে রক্ষণের যে ফাঁকফোকর দেখা গিয়েছিল, তা মেরামতির জন্য মরিয়া লাল-হলুদ প্রফেসর।
সেই ম্যাচে চোট পান সাইডব্যাক মহম্মদ রাকিপ। তিনি এদিন অনুশীলনে আসেননি। তবে হাঁটুতে ব্যান্ডেজ ছাড়াই পুরোদমে অনুশীলন করেন হিজাজি। শুরুর দিকে বল দখলের লড়াইয়ে মুখে সতীর্থের হাত লাগে ক্লেইটন সিলভার। তারপর এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আর অনুশীলন করেননি। যদিও সূত্রের খবর, আঘাতটা সামান্য।