উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে ঘুম থেকে ওঠার মুহূর্ত থেকে রাতে ঘুমোনোর আগে পর্যন্ত মোবাইল ফোন আমাদের সঙ্গী। কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাতে ফোন, হাঁটতে গিয়ে কানে ফোন, টেবিলে খাবার প্লেটের সামনে ফোন – অর্থাৎ ফোন নির্ভর জীবন। অনেকে আবার খেতে খেতেই মেসেজ বা ইমেলে টুকটাক অফিসের কাজ সেরে নিচ্ছেন। কেউ বা ফেসবুকে ঢুঁ মারছেন। কিন্তু জানেন, খেতে খেতে মোবাইল (Mobile Phone) ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি ক্ষতিকর!
খাওয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কে যে হরমোনের কার্যকলাপ চলে, ফোনে কথা বলতে গেলে তাতে ব্যাঘাত ঘটে। যার প্রভাব পড়ে আমাদের পাচন ও বিপাক ক্রিয়ায়। ফলে হজমে গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।
ডিভাইস বা ফোন ব্যবহার করে খাওয়ার সময় খাবারের পরিমাণের দিকেও নজর থাকে না। মনোযোগ কমে যায়। ফলে কারও বেশি খাওয়া হয়ে যায়, কেউ বা সম্পূর্ণ না খেয়ে উঠে পড়েন। এতে পুষ্টি সরবরাহও ব্যাহত হয়।
তাছাড়া খাওয়ার সময় ফোনে কথা বলার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ করে চোকিং হতে পারে, খাবার গলায় আটকে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আমাদের খাদ্যনালি ও শ্বাসনালি পাশাপাশি থাকে। খাওয়ার সময় কথা বললে খাদ্যনালিতে খাবার না গিয়ে শ্বাসনালিতে চলে যেতে পারে। তখন দম বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
‘মাইন্ডফুল ইটিং’ কথািট এখন খুব প্রচলিত। অর্থাৎ খাওয়ার সময় খাবারের স্বাদ, রং, গন্ধ সবকিছুর দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে খাওয়া। না হলে খাবারের পুরো পুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়। বিশেষ করে শিশুদের খাওয়ানোর সময় হাতে ফোন দেওয়া একেবারে উচিত নয়। এতে তারা খাবারের স্বাদ-বর্ণ-গন্ধ কিছুই টের পায় না। শুধু খাবার গেলে।
একা খাবার খান বা পরিজন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে, খাওয়ার সময় মোবাইলে সময় দেবেন না। বাড়িতে বা বাইরে খাবার টেবিলে একসঙ্গে খাবার খাওয়া পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করে, যাকে বলে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটানো। তাই ফোনে মন দিয়ে এই সময়টাকে নষ্ট করা ঠিক নয়।