নাগরাকাটা: পরপর তিনদিনের হামলা। এর জেরে বন দপ্তরের সামাজিক বন সৃজন প্রকল্পের কয়েকশো গাছের চারার ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠে গেল। শুক্র, শনির পর রবিবার গভীর রাতেও নাগরাকাটার ছাড়টন্ডু গ্রামের গোট বস্তির ওই বন সৃজনের প্রকল্প তছনছ করেছে ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা ৪০টি হাতির একটি দল। প্রতিবারের হামলার পর চারপাশের ফেন্সিং মেরামত করে দিলেও ফের তা গুঁড়িয়ে দিয়ে ঐরাবৎ বাহিনী ঢুকে পড়ছে জমির ভেতর। হাতির পায়ের তলায় চাপা পড়ে বহু চারা গাছ নষ্ট হতে বসেছে। পরিস্থিতি দেখে হতাশ বনকর্মীরা। বন দপ্তরের সামাজিক বন সৃজনের গয়েরকাটার রেঞ্জার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘আপ্রাণ চেষ্টা করছি গাছগুলিকে বাঁচানোর। দেখা যাক কি হয়!’
কুজি ডায়না নদীর পাশে বিস্তীর্ণ ওই ফাঁকা জমিতে গত জুলাইতে ১৫ হেক্টর এলাকাজুড়ে ওই বন সৃজনের কাজটি করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি এমনই কতগুলি গাছ বাঁচবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে ৪০টি হাতির একটি পাল একাধিক শাবক সহ ওই স্থানটিতে প্রথমে হামলা চালায়। উপড়ে ফেলা ফেন্সিং বনকর্মীরা সেদিন সকালে কিছুটা ঠিক করেন। সে রাতে ফের একই কায়দায় হামলা চালিয়ে জমির বেশিরভাগ গাছই তছনছ করে দেয় বুনোদের দলটি। রবিবার ফের নতুন করে ফেন্সিং ঠিক করা হয়। ওই রাতে আবার দফারফা করে দেয় হাতির দলটি। জারুল, শিশু, আমলকি, চিকরাশি, মেহগনির মতো আরও নানা প্রজাতি মিলিয়ে গোট বস্তীতে প্রায় ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছিল।