বেলাকোবা: বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গেট বাজার সংলগ্ন তিস্তা ক্যানাল রোডে ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছিল একটি হস্তিশাবক। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হল সেই হস্তিশাবকের। এই ঘটনায় ঘাতক ডাম্পারের মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ভোরের আলো পুলিশ ফাঁড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালবাজার সংলগ্ন তিস্তা, চেল, ঘিশ ও লিস সহ বিভিন্ন নদী থেকে প্রতিদিন বালি পাথর তুলে গজলডোবা ক্যানাল রোড দিয়ে ডাম্পার গুলি যাতায়াত করে। বৃহস্পতিবার ভোরে এমনই একটি ডাম্পারের সামনে চলে আসে হস্তি শাবক। নিমেষের মধ্যে হস্তি শাবকটিকে ধাক্কা মারে ডাম্পার। রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে শাবকটি। শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় বয়ে যায় রক্ত। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার চিরঞ্জিত পাল। রক্তাক্ত অবস্থায় শাবকটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যান বনকর্মীরা। ঘটনার পর থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় হাতিটির।
এ বিষয়ে বন দপ্তরের বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকি জানান, ‘আহত হাতির শাবকটিকে এখন চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি সংলগ্ন বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হলেও হস্তি শাবকটিকে বাঁচানো যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘাতক গাড়িটিকে শনাক্তকরণের কাজ চলছে।’
এদিকে হস্তিশাবকের মৃত্যুর পর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। এই ঘটনায় ভোরের আলো পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বনদপ্তর। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থা। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়িস্থিত সিসিএফকে স্মারকলিপি দিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। বৈকুণ্ঠপুর ডিভিশনের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকি জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা হস্তিশাবকটিকে বাঁচাবার জন্য যাবতীয় চিকিৎসা ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মারা যায়। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।