জ্যোতি সরকার, জলপাইগুড়ি: মিসেস কানাডা(Mrs Canada) সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) ইলোরা মিত্র নজর কাড়লেন। একমাত্র ভারতীয় বাঙালি প্রতিযোগী হিসাবে ইলোরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছেন। ইলোরা জলপাইগুড়ি শহরের নিউটাউনপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। বিবাহসূত্রে অনেক বছর ধরে তিনি কানাডার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চায় যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। ক্ল্যাসিকাল নৃত্যশিল্পী হিসাবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। মিসেস কানাডা সুন্দরী প্রতিযোগিতার কথা শুনে তিনি এই প্রতিযোগিতাতে অংশ নেবেন বলে মনস্থির করে ফেলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে তিনি ফাইনালে উঠেছেন। ফাইনালে বিশ্বের ২০টি দেশের প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতাতে অংশ নেবেন। প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ইলোরা দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে। ইলোরা জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। কলেজ স্তরের পড়াশোনা জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজে। ফাইনালে শিরোপা অর্জনের জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করে চলেছেন ইলোরা। ইলোরার মা রীতা মিত্র বলেন, কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুশীলন করায় মেয়ে এই পর্যন্ত এসেছে। ওর মনের খুব জোর। আমার বিশ্বাস, আগামী ২১ জুলাই কানাডাতে মিসেস কানাডার প্রতিযোগিতার ফাইনালে আমার মেয়ে অবশ্যই পদক জিতবে।’
ইলোরার স্বামী, মেয়ে ও বাবা-মা তাঁকে সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছেন। সেরার শিরোপা লাভের জন্য তিনি মরিয়া। ইলোরার কথায়, ‘২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুবাইতে কেটেছে। ২০১৪ সালে কানাডাতে আসি। ছোট্ট বাচ্চা সামলে সবকিছু সহজ ছিল না। ছোটবেলা থেকে ই-বিউটি আর ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডের প্রতি আকর্ষণ ছিল। স্বপ্ন দেখতাম আমিও একদিন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব। স্কুলে পড়াকালীন সুস্মিতা সেন মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন। একজন বাঙালি মেয়ের মিস ইউনিভার্স হওয়া আমাকে গর্বিত করেছিল। আমার মেয়ে এখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। হাতে অনেক সময় তাই স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে নেমে পড়লাম।’
পাড়ার মেয়ের সাফল্যের কথা জেনে জলপাইগুড়ির নিউটাউনে খুশির হাওয়া। সকলে পাড়ার মেয়ের আরও বড় সাফল্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে এত বড় সাফল্য জলপাইগুড়ির কোনও মহিলা অতীতে পাননি। স্বাভাবিকভাবে আগামী ২১ জুলাই ফাইনালের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছেন। ইলোরা পদক জিতলে জলপাইগুড়িতে বিশেষ সেলিব্রেশন হবে।