আহমেদাবাদ: প্র্যাকটিস না করে গলফ কোর্সে কাটিয়েছে জস বাটলাররা। গোটা ভারত সফরে নাকি একটি মাত্র প্র্যাকটিস সেশন করেছে! ভারতের হাতে আহমেদাবাদে হোয়াইটওয়াশ সম্পূর্ণ হওয়ার পর যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রবি শাস্ত্রী।
ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেডকোচ বলেছেন, ‘যতটুকু শুনেছি, পুরো ভারত সফরে ইংল্যান্ড মাত্র একটা নেট সেশন করেছে! প্রশ্ন, পরিশ্রম না করলে কীভাবে উন্নতি সম্ভব?’ খোঁচা দিয়েছেন আহমেদাবাদ ম্যাচের মাঝে জোফ্রা আর্চারের ঘুমিয়ে পড়া নিয়েও। ধারাভাষ্যে বলেন, ঘুমোনোর ভালো সময়। গোটা সফর ইংল্যান্ডের ঠিক এভাবেই কেটেছে।
থ্রি লায়ন্সের ক্রিকেট প্রস্তুতি, মানসিকতার দিকে আঙুল তুলেছেন কেভিন পিটারসেনও। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকার দাবি, টি২০ সিরিজে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে দল। ব্যাটে-বলে টেক্কা দিয়েছে ভারত। পালটা জবাবে ঘুরে দাঁড়াতে যে তাগিদ দরকার ছিল, তা দেখা যায়নি ইংল্যান্ড দলের মধ্যে।
জেকব বেথেলের পরিবর্তে শেষ ম্যাচে দলে ঢোকা টম ব্যান্টনের উদাহরণ টেনে পিটারসনের মারাত্মক অভিযোগ, ‘দুবাই থেকে ২ ঘণ্টার বিমান যাত্রা করে এখানে এসেছে ব্যান্টন। প্রস্তুতির বদলে ম্যাচের আগের দিন কাটিয়েছে গলফ কোর্সে। ব্যাটিং অনুশীলনের পথে হাঁটেনি!’
কেপির মতে, স্পিন-দুর্বলতার কারণেই শুরুটা ভালো করেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রতি ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে ভরসা জুগিয়েছেন ফিল সল্ট-বেন ডাকেটেরা। আগ্রাসী শুরু করেছে। কিন্তু ভারতীয় স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। গোটা সিরিজেই একই ভুল, ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। স্পিন খেলায় কীভাবে উন্নতি করা সম্ভব, তার ওপর শীঘ্রই জোর দেওয়া উচিত।
শাস্ত্রী-পিটারসেনদের অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন জস বাটলার। ইংল্যান্ড অধিনায়কের দাবি, এহেন দাবির মধ্যে সত্যতা কম। লম্বা সফরে ম্যাচের মাঝে এক শহর থেকে আরেক শহর যাতায়াত করতে হয়েছে। সবমিলিয়ে গোটা দুয়েক প্র্যাকটিস সেশন মিস হলেও যথেষ্ট ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। তাঁরা সফরে একটা মাত্র নেট সেশন করেছেন বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
বাটলারের কথায়, দলের প্রত্যেকেই মরিয়া ছিল নিজেদের সেরাটা দিতে। সেই চেষ্টা করেছে বাইশ গজে। দুর্ভাগ্য যার প্রতিফলন ঘটেনি। বেশ কিছুক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করে তা হাতছাড়া হওয়া বিপক্ষে গিয়েছে। সাফল্য না মিললেও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখবে টিম ইংল্যান্ড।