নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া জারি রাখলে পাকিস্তানকে (Pakistan) তার পরিণতির জন্যও তৈরি থাকতে হবে। জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও নাশকতামূলক কাজকর্মে মদত এবং শান্তি-আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। ভারত যে পাকিস্তান নীতিতে বদল আনছে, বিদেশমন্ত্রীর কথায় সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা কী ধরনের সম্পর্কের কথা ভাবতে পারি? আপনি এমন এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের দিশা স্থির করছেন যারা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্ত্রাসবাদে মদতদানকে পাকিস্তান প্রায় শিল্পের স্তরে নিয়ে গিয়েছে।’ পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদের রাস্তা থেকে সরে আসে তাহলে ভারতের তরফে আলোচনার রাস্তা খোলা থাকবে বলে ইঙ্গিত করেছেন জয়শংকর।
একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ভারতের কাছে সন্ত্রাসবাদের তাৎক্ষণিক সমাধান নেই। কিন্তু সরকার আর এই সমস্যাকে লঘু করে দেখবে না। আমরা বলছি না সব ঠিক আছে। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চলছে। তার পরেও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব, সেটা হতে পারে না।
বাংলাদেশ (Bangladesh) সম্পর্কেও খোলামেলা মতপ্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমরা সেখানকার বর্তমান সরকারকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করব। প্রতিবেশী সবসময়ই একটা ধাঁধা। আমাকে বলুন এমন কোনও দেশ আছে যাকে প্রতিবেশী সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয় না?’ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউনূস তাঁকে সেদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।’