কামাখ্যাগুড়িঃ ২০০৮ সালে লোহার জালি এবং পাথর দিয়ে বাঁধ দেওয়ার পর রায়ডাক নদীর ভাঙন থেকে মুক্তি মিলেছিল। কিন্তু সেই লোহার জালির বাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পর রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন খোয়ারডাঙ্গা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চেংমারী কাঞ্চি বাজার চৌপথি এলাকার প্রায় ২০টি পরিবার। তার-জালির বাঁধ নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পর এবার রাজ্য সড়কের দিকে এগিয়ে আসছে রায়ডাক নদী। রাজ্য সড়ক নদীর গর্ভে চলে গেলে গোটা গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে। প্রবল বর্ষণের পর এই বসতি এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। ভাঙনের খবর পেয়েই বুধবার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান কুমার গ্রামের বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ। রায়ডাকের ভাঙন পরিদর্শন করার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিধায়ক গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন বিষয়টি তিনি শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনবেন এবং যাতে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেই আর্জি জানাবেন।
বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ এদিন জানান, ‘এর আগে রায়ডাক নদীর ভাঙনে কাঞ্চি বাজার এলাকার কুড়িটি পরিবারের অন্তত ৭০ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। ২০০৮ সালে পাথর এবং লোহার তারের জালি দিয়ে নদীর বাঁধ দেওয়া হয়। তারপর থেকে ভাঙন সেভাবে আর হয়নি। কিন্তু গত বছর বর্ষায় তারের জালির বাঁধ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এখন রায়ডাক নদী গ্রামের দিকে তেড়ে আসছে। মাঝখানে রয়ে গেছে রাজ্য সড়ক। এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে রাজ্য সড়কও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমি নিজে ভাঙন পরিদর্শনে গিয়েছি। পরিস্থিতি সত্যিই খুব খারাপ। আমি খুব শীঘ্রই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবো। ভাঙন রোধে যাতে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হয় সেই আর্জি জানাবো।’
ওই এলাকার বাসিন্দা দিপালী নার্জিনারি জানান, ‘গ্রামের অন্তত কুড়িটা পরিবার রায়ডাক নদীর ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ওই পরিবার গুলির আগে অনেক জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ভাঙন থেকে বাঁচতে বাড়িঘর সরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু আবার রায়ডাক নদী বসতি এলাকার দিকে এগিয়ে আসছে। ওই পরিবারগুলি এবং রাজ্য সড়ক বাঁচাতে অবিলম্বে কাঞ্চি বাজার চৌপতি এলাকায় রায়ডাক নদীর বাঁধ নির্মাণ করা জরুরী।
স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল নার্জিনারি জানান, ‘আমাদের সর্বস্ব আগে নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। ২০০৮ সালে বাদ দেওয়ার পর ভাঙনের সমস্যা মিটে গিয়েছিল। কিন্তু সেই বাঁধ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় এখন আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ না হলে ভিটেমাটি ঘরবাড়ি সবই চলে যাবে রায়ডাকের গর্ভে। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভাঙন রোধে প্ল্যান এস্টিমেট করা হয়েছে। টাকা বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। আবহাওয়া নিয়ে বড় আপডেট দিল আবহাওয়া দপ্তর…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চার বছরের চুক্তিতে দাড়ি পড়ল মাত্র ১ বছরেই। গত বছরের মার্চে…
মানিকচক: আম কুড়াতে ব্যাগ হাতে বাগানের দিকে দৌড় মেরেছিল অমিত। তবে আম কুড়িয়ে আর বাড়ি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশের জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় খেলতে খেলতেই লুটিয়ে পড়েন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান।…
মানিকচকঃ প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধহীন অবস্থায় ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকা। আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। প্রশাসনের উপর…
রাজগঞ্জঃ বিজেপি নেতার রিসর্ট ভাঙতে এসে ভেঙে দিয়ে গেল তৃণমূল নেতার খামারবাড়ি। এই ঘটনায় শুক্রবার…
This website uses cookies.