উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই ইউরো কাপের সুপার এইটে চলে গিয়েছে জার্মানি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়প্ন হয়ে পরে রাউন্ডে যেতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হার এড়িয়ে গ্রুপসেরা হয়েই পরের পর্বে গেল জার্মানি। ৯২ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় নিকলাস ফুলক্রুগের গোলে ১–১ গোলে ড্র করেছে জার্মানরা।
আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা জার্মানিকে আজ বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল সুইসরা। জমাট রক্ষণে জার্মান আক্রমণভাগকে চাপেই রেখেছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরুসিয়া ডর্টমুন্ড তারকা ফুলক্রুগই ত্রাতা হয়ে বাঁচিয়েছেন জার্মানিকে। ফ্রাঙ্কফুর্টে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই কর্নার থেকে গোলের সুযোগ পায় জার্মানি। তবে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি তারা। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রেখে একের পর এক আক্রমণে যাওয়ার সুফল জার্মানি পায় ম্যাচের ১৭ মিনিটে। বক্সের বেশ বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করেন রবার্ট আনড্রিচ। তবে একই আক্রমণের শুরুতে বক্সের ভেতর জামাল মুসিয়ালা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করায় ভিএআর যাচাইয়ের পর বাতিল করা হয় গোলটি।
গোল না পেলেও সুইস রক্ষণকে বেশ চাপে রাখে জার্মানরা। শেষ ষোলোয় যাওয়ার জন্য সুইজারল্যান্ডের ড্র যথেষ্ট ছিল। সে কারণেই হয়তো বেশ সতর্ক হয়ে খেলছিল তারা। ২৮ মিনিটে দাপুটে খেলতে থাকা জার্মানিকে স্তব্ধ করে এগিয়েও যায় সুইজারল্যান্ড। দারুণ এক প্রতি–আক্রমণ থেকে রেমো ফ্রুয়েলারের সহায়তায় অসাধারণ এক স্লাইডিং শটে গোল করে সুইসদের এগিয়ে দেন ডান এনডয়ে। এগিয়ে গিয়ে সুইজারল্যান্ড আরও বেশি সতর্ক ফুটবল খেলতে শুরু করে।এদিন সেরা ছন্দে দেখা যায়নি জার্মানিকে।
বিরতির পর জার্মানি চেষ্টা করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার। বিপরীতে সুইজারল্যান্ডও আক্রমণে গিয়ে তৈরি করছিল হুমকি। সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে জার্মানি। বাড়িয়ে দেয় বিপক্ষের বক্সে আক্রমনের ঝাঁঝ। ৫৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ক্রুসের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে। ৭০ মিনিটে জশুয়া কিমিখের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ব্লক করে সুইজারল্যান্ডকে বাঁচিয়ে দেন ম্যানুয়াল আকাঞ্জি। ৮২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ক্রুসের শট অল্পের জন্য জালে জড়ায়নি। ৮৪ মিনিটে জার্মান শিবিরকে স্তব্ধ করে ব্যবধান ২–০ করে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। এরপর ম্যাচ যখন শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষায় তখনই দারুণ এক গোলে জার্মানির হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান ফুলক্রুগ। এই গোলই জার্মানিকে গ্রুপসেরা হিসেবে নিয়ে গেল শেষ ষোলোয়।