উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : তাপপ্রবাহে নাজেহাল ইউরোপ। প্রখর রোদে পুড়ছে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ। ইতালিতে গরমের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা আমজনতার। মিলান, রোম সহ দেশের ১৭টি জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবার ফ্রান্সে স্কুল বন্ধ। আইফেল টাওয়ারের মতো পর্যটনস্থলগুলিতে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র ক্লেয়ার নালিসের মতে, উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই সময় তাপপ্রবাহের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে এভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগে দেখা যায়নি। এর ফলে ইউরোপের লক্ষ লক্ষ মানুষ ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
ইউরোপে চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। কোথাও ৪০ ডিগ্রি, কোথাও ৪৬ ডিগ্রি, আবার কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। ইউরোপে তাপমাত্রার এমন বৃদ্ধি অতীতে লক্ষ করা যায়নি বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের কিছু অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। দেশের প্রায় ১৯০০ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যটকদের জন্য বুধবার আইফেল টাওয়ার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, মিলান, রোম সহ ইতালির ১৭টি জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে যেতে বারণ করেছে প্রশাসন। একই অবস্থা স্পেনেও। সেখানে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪২-৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দেশের সরকারি আবহাওয়া বিজ্ঞান সংস্থা জানিয়েছে, অতীতে জুন মাসে এত গরম পড়েনি। তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন আবহবিজ্ঞানীরা। প্রখর রোদে পুড়ছে পর্তুগালও। দেশটির মোরা শহরে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬.৬ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহের কবলে গ্রিস, তুরস্ক, ব্রিটেনও।