উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইডির হাতে বিস্ফোরক তথ্য! নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কালীঘাটের কাকু! ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। কুন্তল ঘোষ কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। ১০ লাখ গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। এমনকী ২০১৮ সালের পর থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এদিন কালীঘাটের কাকুকে ১৪দিনের জেল হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে ইডি।
মঙ্গলবার টানা ১২ ঘন্টা সিজিও কমপ্লেক্সে কালীঘাটের কাকুকে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। একাধিক নথি, হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটকে সামনে রেখে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান সুজয়কৃষ্ণ। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী ২০২১ সালের আগে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ ছিল না বলেও তিনি দাবি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, শাসকদলের একেবারে তাবড় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন কালীঘাটের কাকু। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও এসেছে ইডির হাতে। সেই সঙ্গেই কুন্তলের সঙ্গেও যে সুজয়কৃষ্ণের যোগাযোগ ছিল সেটাও ক্রমেই সামনে আসছে। সেই সঙ্গেই বড় প্রশ্ন, আর কার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের? শাসকদলের আর কোন শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগ ছিল সুজয়কৃষ্ণের? সেটাই জানতে চায় ইডির।
উল্লেখ্য, গোপাল দলপতি প্রথমে কালীঘাটের কাকুর কথা সামনে এসেছিলেন। কালীঘাটের কাকু আসলে কে সেই নাম প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। কুন্তল নাকি বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে পেমেন্ট পাঠাতে হবে বলে জানাত বলে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই কালীঘাটের কাকুকেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের প্রাক্তন কর্মী।