চ্যাংরাবান্ধা: সাত দফা দাবিতে ১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (Federation Of West Bengal Truck Owners Association)। এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছে চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও। ফলস্বরূপ বুধবার বন্ধ থাকল চ্যাংরাবান্ধা (Changrabandha) সীমান্ত দিয়ে রপ্তানি (Export) বাণিজ্য। এদিন ট্রাকের চাকা সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে যায়নি। তবে বাংলাদেশের পণ্যবাহী আমদানি বাণিজ্যের গাড়ি এপারে এসেছে।
চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক আব্দুল সামাদ বলেন, ‘ওভারলোডিং বন্ধ করা, ওয়েব্রিজের অত্যাচার বন্ধ করা, ১৫ বছরের গাড়ি বাতিলের উর্ধ্বসীমা ২০ বছর করা সহ সাত দফা দাবিতে রাজ্য ফেডারেশনের সঙ্গে আমরাও শামিল হয়েছি। বাংলাদেশের পন্যবাহী আমদানি বাণিজ্যের গাড়িগুলির সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। তাই সেগুলি নিজেদের মতো চলাচল করেছে।’
এদিন বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিয়ে এপারে আসা গাড়িগুলির ভিড় জমতে থাকে এশিয়ান হাইওয়ের ওপর। যদিও পরবর্তীতে ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গাড়িগুলির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এদিন সকাল থেকেই ভিআইপি মোড়ে মোতায়েন ছিল মেখলিগঞ্জের পুলিশ বাহিনী। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ কুমার কানু বলেন, ‘ট্রাক ধর্মঘটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটির যে ব্যবসা হয় তা আজ হয়নি। তবে আমদানি বাণিজ্য চালু ছিল। বাংলাদেশ থেকে ৬৪ পণ্যবাহী ট্রাক এদিন এপারে এসেছে।’