তমোঘ্ন ব্রহ্ম, কলকাতা: জীবনে আমরা কমবেশি সকলেই কারও না কারও ফ্যান। কিন্তু কেউই হয়তো ইছাপুরের শিবশংকর পাত্রর মতো ফ্যান নই। পেশায় চা বিক্রেতা এই মানুষটির জীবনজুড়ে লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। বছর ছাপ্পান্নর শিবশংকর প্রতিবছর মেসির জন্মদিনে তাঁর যত বয়স হয়, এলাকার মানুষের সঙ্গে তত পাউন্ডের কেক কাটেন। যেমন চলতি বছরের ২৪ জুন ৩৮ পাউন্ডের কেক কেটেছেন। সেইসঙ্গে প্রতিবছর ওইদিনে নিজেকে নানানরকম সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত রাখেন।
শিবশংকরের কথায়, ‘২০১১ সালে মেসি ভারতে এসেছিলেন। সেসময় পুরো বাড়ির রং নীল-সাদা করে ফেলি। এলাকার মানুষের কাছে আমার বাসস্থান ‘আর্জেন্টিনা বাড়ি’। খুব ইচ্ছে ছিল ২০২২ সালে কাতারে গিয়ে বিশ্বকাপ দেখার। কিন্তু আর্থিক কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় বাড়িতে মেসির উচ্চতার সমান একটি মূর্তি বসিয়েছি।’ তাঁর এই প্রেমের কথা পৌঁছে গিয়েছে আর্জেন্টিনাতেও। তারপরও আজ অবধি ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে দেখা হয়নি শিবশংকরের, যেই আক্ষেপ এখনও তাঁর রয়েছে।
বাবার এই আক্ষেপ মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন মেয়ে নেহা। ডিসেম্বরে মেসি কলকাতায় আসছেন। সেসময় কিছুক্ষণের জন্য হলেও বাবার সঙ্গে মেসির সাক্ষাৎ করাতে চান তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে এজন্য কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারবে কি না সেটা জানতে চেয়ে পোস্ট করেন। নেহার কথায়, ‘বাবার জীবনে ফুটবল আর মেসি ছাড়া আর কোনও নেশা নেই। আমাদের মধ্যেও সেই ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি, এমনকি আমার ছেলের নামও লিও। বাবার জন্য এইটুকু করা আমার কর্তব্য।’
কিন্তু নেহা যতই চাক, আদৌ তাঁর কিংবা তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মেসিকে কলকাতায় নিয়ে আসার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়টি তাঁর হাতে নেই। তবে তিনি চেষ্টা করবেন, আপাতত টিকিটের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।

