রাঁচি: ‘যা টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা পারিবারিক ব্যবসার টাকা।’ এমনই দাবি করলেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু। আয়কর দপ্তরের তল্লাশিতে তাঁর বাড়ি ও অফিস থেকে প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই ঘটনার পর কংগ্রেস সাংসদ এতদিন কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তল্লাশির দশ দিন পর অবশেষে তিনি মুখ খুললেন।
ধীরজের দাবি, যে অর্থ আয়কর দপ্তর বাজেয়াপ্ত করেছে, তা সরাসরি তাঁর নয়। যেসব সংস্থাগুলিতে আয়কর দপ্তরের অভিযান চলেছে, সেই সমস্ত সংস্থার টাকা। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ওই টাকার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনৈতিক রং। কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেসকে নিশানা করেছে বিজেপি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কংগ্রেসকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি।
ধীরজ সাহু একটি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছেন। কিন্তু এই প্রথমবার তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরণের কোনও অভিযোগ উঠল। কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ‘এই ঘটনায় আমি খুবই ব্যথিত।‘ সাহুর সাফাই, ‘আমরা প্রায় ১০০ বছর ধরে মদ তৈরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি এবং ব্যবসায় সেভাবে নজর দিই না। আমার পরিবারের সদস্যরাই ব্যবসার দেখাশোনা করেন। আমি শুধু মাঝে মধ্যে সব ঠিকঠাক চলছে কি না তার খোঁজ নিই।’
তাঁর বক্তব্য, ‘যা টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটা পারিবারিক ব্যবসার টাকা। আমি ব্যবসায়ী নই। আমি রাজনীতিবিদ। ৩০-৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমার পরিবার ও সংস্থা আয়কর দপ্তরের কাছে এনিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবে।’
প্রসঙ্গত, ধীরজ সাহুর মদের ব্যবসা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকায় তাঁর ফার্ম রয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর আয়কর দপ্তর তাঁর বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে।