আলিপুরদুয়ার: দুর্ভোগের রবিবার। রবিবার দুপুরে বামনহাট-আলিপুরদুয়ার প্যাসেঞ্জার ট্রেন (নম্বর ৫৫৪৬৬)-এ যাত্রার স্মৃতিকে এভাবেই হয়তো মনে রেখে দেবেন যাত্রীরা। অসহ্য গরমের দুপুরে ট্রেনে উঠে যাত্রীরা দেখেন একটি ফ্যানও চলছে না। সেই অবস্থাতেই যাত্রা করতে হয়েছে তাঁদের।
দেওয়ানহাট থেকে স্ত্রী ও ছয় বছরের ছেলেকে নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন প্রশান্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘একটাও ফ্যান চলছিল না। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কেবল আমাদের কামরার সমস্যা, কিন্তু সামনে-পেছনে যেখানেই গিয়েছি, একই অবস্থা। আমার ছেলে গরমে কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়ে।’ কামরায় বসা আর এক যাত্রী শিলারানি সাহা বলেন, ‘এমন গরমে ২ ঘণ্টার যাত্রা যেন কয়েক ঘণ্টার মতো লেগেছে। সবাই যার যার মতো হাতপাখা, খবরের কাগজ নিয়ে হাওয়া করতে ব্যস্ত ছিল।’
এই ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক যাত্রীর মতে, এই অব্যবস্থা রেলের গাফিলতির প্রমাণ। তাঁরা প্রশ্ন করেন, যদি ট্রেনে ফ্যান নষ্ট থাকে, তাহলে কেন তা আগেই মেরামতি করা হয়নি? উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়ার ডিসিএম অভয় গণপত সানোপ বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে এবং দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’
অসহ্য এই গরমে একমাত্র ট্রেনের জানলার ধারেই স্বস্তি মিলেছে। প্রবীণ এক যাত্রী জানালেন, এদিন জানলার ধারে কে বসবে, তা নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। যাত্রীদের দাবি, ফ্যান মেরামতি সহ রেলকামরায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিয়মিত করতে হবে। নয়তো দুর্ভোগ চলতেই থাকবে।