জসিমুদ্দিন আহম্মদ, মালদা: পুলিশি তদন্তে আস্থা নেই। ছেলের মৃত্যুর তদন্তের ভার নিক সিবিআই (CBI)! এমনটায় দাবি করছেন হস্টেল কাণ্ডে মৃত তহিদের বাবা রেজাউল করিম। পুত্রশোকে কাতর মা-বাবাকে সান্ত্বনা দিতে রবিবারেও মালদার (Malda) যদুপুরের বাড়িতে মানুষের ভিড় ছিল। কখনও পুলিশের ফোন, কখনও রাজনৈতিক নেতাদের। সকলেই পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে রেজাউল করিম রবিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলের খুনের (Murder Case) কারণ জানতে তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন। ছেড়ে কথা বলবেন না কলেজ কর্তৃপক্ষকেও।
মৃত ছাত্রের বাবা এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার ওই ফার্মাসি কলেজ। সেখানে আমরা কিছু করে উঠতে পারব না। তাদের নির্দেশেই রঘুনাথগঞ্জ থানা আমাদের অভিযোগ নিতে চায়নি। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতেও পুলিশ বারণ করেছিল। কিন্তু কেন? আমি সেদিন কলেজে না গেলে হয়তো জানতেও পারতাম না যে আমাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ছেলের দেহ হয়তো গায়েব করে বলত নিরুদ্দেশ। তাই রঘুনাথগঞ্জ থানায় নয়, আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি ইংরেজবাজার থানায়।’
গত ১৩ অগাস্ট রঘুনাথগঞ্জের মিয়াঁপুরে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের ফার্মাসি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র তহিদ করিমের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বাড়ি ইংরেজবাজার ১ নম্বর ব্লকের যদুপুর অঞ্চলের কমলাবাড়ি গ্রামে। আর সেই মৃত্যুর ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে আসার পর যথেষ্ট চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রেজাউল করিমের কথায়, ‘পুলিশি তদন্তে আমাদের আশ্বাস নেই। ছেলের খুনের ঘটনাকে তারা আত্মহত্যা বানিয়ে ছাড়বে। আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের ভার যেমন সিবিআই করছে, আমার ছেলের খুনের তদন্তও যাতে সিবিআই নেয় তার দাবি জানাচ্ছি।’
কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ সানাউল ইসলাম বলেন, ‘রেজাউল করিমের পরিবার এখন রঘুনাথগঞ্জ যেতে ভয় পাচ্ছেন। তৃণমূলের ওই দাপুটে নেতার সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠতে পারবেন না। সেখানে গেলে শারীরিক হেনস্তার মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন তারা।’