ডালখোলাঃ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা খোয়ালেন ডালখোলার এক বাসিন্দা। টাকা খোয়া গেছে ডালখোলার সুভাষপল্লীর বাসিন্দা হারাধন ঝায়ের। জানা গিয়েছে, পেশায় পুরোহিত হারাধনবাবু একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। সেখান থেকে ৪০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনায় তিনি ডালখোলা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কীভাবে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটল? হারধন ঝাঁ জানিয়েছেন, তাঁর মা মায়া ঝায়ের নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর বরাদ্দ হয়েছে। সেই ঘরের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে গিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকে থাকা মায়ের অ্যাকাউন্টে। পুরসভা ভোটের আগে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকলে কোনও কারণবশত তা হোল্ড করে দেয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। হারাধন বাবুর কথায়, “সোমবার অচেনা নম্বর থেকে আমার ফোনে একটি ফোন আসে, এবং আমাকে জানানো হয় যে মায়ের নামে আসা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে টাকা হোল্ডে রাখা হয়েছিল তা রিলিজ করা হবে যার জন্য তারা মায়ের প্যানকার্ড নম্বর চায়। কিন্তু আমি যখন তাদের জানাই যে মায়ের প্যান কার্ড নেই তখন সেখান থেকে আমাকে বলা হয় হোল্ডে থাকা টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে যার জন্য আমার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর ও প্যান কার্ড নম্বর চাওয়া হয়। এরপর আমার ফোনে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়। এবং তা আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়। যেহেতু তারা আমার মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা হোল্ডে থাকার কথা জানায় তাই আমি বিশ্বাস করে তাদের কথামতো সকল তথ্য দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর বেশ কয়েক ধাপে আমার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ আসে। আমি অসুস্থ, কয়েকদিন আগেই আমার অপারেশন হয়েছে। এই শারিরিক অবস্থা নিয়েই আমি আমার ব্যাংকে যাই এবং ম্যানেজারকে সব ঘটনা জানালে তিনি বলেন যে আমি প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছি। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি ফোন মারফৎ সাইবার ক্রাইমের টোল ফ্রি নম্বরে আমার অভিযোগ জানিয়েছি।”
এব্যাপারে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার বিজয় কুমার বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কখনই উপভোক্তাদের ফোন করে টাকা লেনদেন করে না। এমনকী উপভোক্তার কাছে কোনও তথ্য বা ওটিপি ফোন করে চাওয়া হয় না। কখনই নিজের ব্যাংকের তথ্য বা কোনওরকম ওটিপি শেয়ার করা ঠিক নয়। এব্যাপারে জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে। আমরা বিভিন্ন সময়ে উপভোক্তাদের সচেতন করে থাকি।