শিলিগুড়ি: ভক্তিনগর থানা এলাকার একটি নার্সিংহোমে আর্থিক তছরুপের(Financial fraud) অভিযোগ উঠল চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নার্সিংহোমেরই এক ডিরেক্টর অভিজিৎ দাস। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নার্সিংহোমের তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ধৃতরা প্রত্যেকেই ভক্তিনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদের নাম সুবীর পাল, অমিক সাহা ও অলোক উপাধ্যায়। ধৃতদের শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। এদের মধ্যে সুবীর পাল ও অলোক উপাধ্যায়কে সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অমিতের জেল হেপাজত হয়েছে। প্রত্যেকেই ওই নার্সিংহোমের(Nurshing home) বিলিং সেকশনে কাজ করত। অন্যদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসক নবীন আগরওয়াল ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক মণিকা আগরওয়াল ঘটনার পর থেকেই পলাতক। মূল ওই অভিযুক্তদের খোঁযে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ওই চিকিৎসক দম্পতিও ওই নার্সিংহোমের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। চলতি মাসের গত ১২ তারিখের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযোগকারী তাঁর অভিযোগপত্রে ওই চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে বেশকিছু বিলের কথা উল্লেখ করেছেন। অভিজিতের অভিযোগ, ‘চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি এক রোগীর বিল হয় ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। রোগী সেই বিল পুরো পেমেন্টও করে। যদিও নার্সিংহোমের বিল রেকর্ডে দেখা যায়, সে বিল করা হয়েছে ৬৪ হাজার টাকা।’ তবে এই একবারই নয়, একাধিকবার ওই দম্পতি এধরণের তছরুপের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি একবার নাসিংহোমের বিল রেকর্ডে ২৫ হাজার টাকা দেখিয়ে ৪৩ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। তবে সেক্ষেত্রে মেডিকেল ইন্সুরেন্স থাকায় সে তছরুপটা হালকা হয়ে যায়।‘ এমনকি নাকর্সিংহোমের অভ্যন্তরীণ কমিশনের ক্ষেত্রেও তছরুপের অভিযোগ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ওই নকল বিল করে নার্সিংহোমের বিল রেকর্ডে রেখে দিত বলে ওই চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ। এদিকে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার নার্সিংহোমে গিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখে। এরপরই বিল সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।