শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: বন দপ্তরের বেশিরভাগ বনবাংলো (Forest Bungalow) ও কটেজে সঠিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় থাকা বন দপ্তরের বিভিন্ন বাংলো ও কটেজে সমীক্ষা চালিয়ে দমকল এমনটাই জানতে পেরেছে। সমস্যা মেটাতে দমকলের সুপারিশ অনুযায়ী আগামীতে বন দপ্তরের সমস্ত বাংলা ও কটেজে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা করা হবে বলে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন।
দিনকয়েক আগেই আগুনে জলদাপাড়ার (Jaldapara) ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো (Holong Bungalow) আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই বনবাংলোটি পুড়ে যাওয়ায় কম হইচই হয়নি। ঠিক কী কারণে এটি পুড়ে গেল তা এখনও পরিষ্কার নয়। গত বুধবার বিকেলে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে থাকা মূর্তি ইকো কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যদিও ওই কটেজে থাকা কর্মীদের তৎপরতায় ওই অগ্নিকাণ্ড খুব বড় আকার নেয়নি। তবে একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় বন দপ্তর যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।
পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বন দপ্তর তাদের অধীনে থাকা বিভিন্ন বনবাংলো ও কটেজগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চাইছে। এজন্য দমকলের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যেই দিনকয়েক ধরে দমকল দপ্তরের সহযোগিতায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বনাঞ্চলে থাকা বন দপ্তরের বিভিন্ন বনবাংলো ও কটেজগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দমকল ও বন দপ্তরের একটি বিশেষ টিম বন দপ্তরের জলপাইগুড়ির ১২টি বনবাংলো ও কটেজ ঘুরে দেখা শুরু করেছে। সেগুলিতে অগ্নিনির্বাপণের কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ বনবাংলোতেই অগ্নিনির্বাপণের তেমন ব্যবস্থা নেই বলে এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, ‘কী ব্যবস্থা নিলে এই বনবাংলো ও কটেজগুলিতে অগ্নিকাণ্ড এড়ানো যায় তা খতিয়ে দেখতেই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’