উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা। প্রথম দিনেই চলল গুলি। মারা গেলেন এক কংগ্রেস কর্মী। এদিনই সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের কান্দির খড়গ্রামে। নিহত কংগ্রেসকর্মীর নাম ফুলচাঁদ শেখ। তাঁর বয়স ৪২ বছর। অভিযোগ, কংগ্রেসের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই গুলি করে হত্যা করেছে ফুলচাঁদকে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এই ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের রতনপুর এলাকায়। এদিকে কংগ্রেসকর্মীর হত্যার ঘটনার পর রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অবিলম্বে মুর্শিদাবাদ জেলাশাসককে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, এদিন বাড়ির সামনে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন ফুলচাঁদ। সেখানে কিছু তৃণমূলের লোকজন এসে হম্বিতম্বি শুরু করে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় ফুলচাঁদকে। জখম হন বেশ কয়েক জন। রক্তাক্ত অবস্থায় ফুলচাঁদকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেইখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আরও তিন জন কংগ্রেস কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, হার নিশ্চিত জেনেই এই কাজ করেছে তৃণমূল। যদিও শাসক দল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেসই অশান্তি পাকিয়ে গুলি চালিয়েছে। গুলিতে কোভির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম ২০১৮-র মতো এই পঞ্চায়েত নির্বাচনও রক্তাক্ত হতে পারে। আজকে কংগ্রেস কর্মীকে খুন আমার সেই কথাকেই সত্যি প্রমাণ করল। পুলিশের মদতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। আমরা কাল খড়গ্রামে প্রতিবাদ জানাব।’
নিহত ফুলচাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ফুলচাঁদের গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশবাহিনী।