মোথাবাড়ি: সম্প্রতি বন্য শূকরের আক্রমণে মারা যান এক মৎস্যজীবী। একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যুর পর কীভাবে সংসার চলবে তা ভেবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে স্ত্রী রুনু চৌধুরীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে সকুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা টুলু চৌধুরীর মৃত্যু হয় বন্য শূকরের আক্রমণে। গঙ্গা তীরবর্তী এই গ্রামে বাস করেন শতাধিক মৎস্যজীবী পরিবার। টুলুও পেশায় মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল। কিন্তু বনদপ্তরের সেই টাকায় কতদিন সংসার চলবে তা ভেবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ রুনু চৌধুরীর। কারণ তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। তাদের স্কুলেও পাঠানো জরুরি।
বনদপ্তরের কালিয়াচক রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সরস্বতী বিশ্বাস জানান, ‘এই গ্রামে দরিদ্র পরিবারগুলির বাস। নদীতে মাছ ধরে বা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা। এই পরিবারগুলো আর্থিক ও শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে। সচেতনতার অভাবে অনেক সময় বিপদে পড়ে। বনদপ্তর সব সময় পরিবারের পাশে থাকে।’