কালিয়াচক: তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হল পাঁচ শিশু। রবিবার বিকেলে কালিয়াচক থানার গোপালনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। তৃণমূল যুবর গোলাপগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি শরিফ শেখ বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে কয়েকজন শিশু তৃণমূল যুবর গোলাপগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি শরিফ শেখের বাড়ির পাশেই খেলা করছিল। সেই সময় আচমকাই জোরালো বিস্ফোরণ হয়। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে ৫ শিশু জখম হয়। তাদের নাম রায়হান শেখ (৫), বিক্রম সাহা (৯), শুভজিৎ সাহা (৭), পোলু সাহা (৫) ও মিঠুন সাহা (৬)। সকলেরই বাড়ি গোলাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামে। জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে গোলাপগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। রায়হান শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর মালদা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় নিজের দাপট বজায় রাখতে ও উত্তেজনার ছড়াতেই শরিফ শেখ তাঁর বাড়ির আশপাশে বোমা মজুত করে রেখেছিলেন।
পুলিশের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব শেখ বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’
তৃণমূলের গোলাপগঞ্জ অঞ্চল সভাপতি তোবারক হোসেন বলেন, ‘কে বা কারা বোমা রেখেছে, পুলিশ তদন্ত করলেই তা জানা যাবে। অভিযুক্ত শাসকদলের লোক হলেও আইন আইনের পথেই চলবে।’
এবিষয়ে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি শ্যামসুন্দর সাহা জানান, একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন শিশু আহত হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছে। কে বা কারা ওই বোমা রেখেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দেবীপুর পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল