রতুয়া: বুধবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল পাঁচটি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া ১ ব্লকের মহাদেবপুর গুট্টিপাড়ায়। স্থানীয় মানুষজনের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘণ্টা দেড়েক পর চাঁচল দমকলকেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিন গ্রামে গিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর ফের রতুয়ায় দমকলকেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে সরব হয়েছে এলাকাবাসী। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
জানা গিয়েছে, এদিন ওই গ্রামের আম ব্যবসায়ী কালাম খানের বাড়ির সামনে রাখা আমের ক্যারেটে প্রথমে আগুন লাগে। স্থানীয়দের অনুমান, কোনও কারণে শর্ট সার্কিটের জন্যই এই আগুন। কালাম খানের পাকা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে যায়। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে থাকা সাদিকুল শেখের বাড়ি ও মুদির দোকানে। ভস্মীভূত হয়েছে তাঁর টোটোটিও। পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে যায় নজরুল শেখ, ভাদু শেখের বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শেখ কারিমুলের বাড়িও।
কালাম খান বলেন, ‘দিন পাঁচেক আগে ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তুলেছিলাম। বাড়িতেই সেই টাকা রাখা ছিল। সেই টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকা সবকিছুই পুড়ে গিয়েছে। বাড়ির সামনে রাখা প্রায় তিন হাজার ক্যারেট আম সম্পূর্ণ নষ্ট। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব জানি না। এর জন্য সরকারি সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি।‘
আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন রতুয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শুভম সরকারও। তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ৫-৬টি বাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি কিছুই বাঁচাতে পারেনি। টাকাপয়সা দূরের কথা, কারও নথিপত্রও অক্ষত নেই। আমি সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিষয়টি এলাকার বিধায়ক এবং রতুয়া-১ ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছি৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।’ অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা রতুয়ায় দমকলকেন্দ্রের দাবি তুলেছে। চাঁচল থেকে ইঞ্জিন দেরিতে আসায় ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।