কোচবিহার: উত্তরের তিন জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে বোরো ধান কেনা শুরু করল খাদ্য দপ্তর। রাজ্যের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চাইতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে তিন জেলাই। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে এখন বোরো ধান ভরসা। কোচবিহার জেলা খাদ্য নিয়ামক সুমন পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, আগের চেয়ে ধান কেনার গতি বেড়েছে। সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে তাঁর বিশ্বাস। একই কথা বললেন আলিপুরদুয়ার জেলা খাদ্য নিয়ামক বাবুল ভক্ত।
রাজ্যের খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, বিভিন্ন ব্লকে ধান ক্রয়কেন্দ্র খুলে দপ্তর একদিকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছে। অন্যদিকে, আবার বিভিন্ন এজেন্সির অধীনে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সোসাইটি তাদের থেকে ধান কিনছে। কোচবিহার জেলা খাদ্য দপ্তর সবমিলিয়ে ৩৩টি ধান ক্রয়কেন্দ্র খুলেছে।
জেলার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনতে হবে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান। আরও ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনতে হবে কোচবিহার জেলাকে।
আলিপুরদুয়ার জেলায় খাদ্য দপ্তর নিজের ১১টি ধান ক্রয়কেন্দ্র খুলেছে। তবে এই জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ১ লক্ষ ২৯ হাজার মেট্রিক টন থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৭টি ধান ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রা সবচেয়ে বেশি, ২ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত দপ্তর কিনতে পেরেছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান।
খোলা বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় এবার প্রথম থেকে ধান কেনার গতি কম ছিল জেলাগুলোতে। তার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রভাবেও গ্রামগঞ্জে ধান কেনা হয়নি। তবে বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আশার আলো দেখছেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তিন জেলায় সহায়কমূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে তিন জেলাকে।