মাদারিহাট: হলং বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার ৮৯ ঘণ্টা পর বনবাংলোর ধবংসস্তূপ পরিদর্শনে এলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। কিন্তু রহস্য কমার বদলে বেড়ে গেল, বলছেন সবাই। হলং বনবাংলো পুড়ে যাওয়া, তারপরে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট অপ্রকাশিত রাখা, এতে বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বনমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বল ঠেলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে।
শনিবার দুপুরে বনমন্ত্রী বনবাংলোর পরিদর্শনে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখলেন। বনকর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন। তারপর মাদারিহাটের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সাংবাদিক বৈঠক করলেন। সেখানে বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে বনমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বন দপ্তর একটি রিপোর্ট জমা করেছে। বাকি আছে ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট এবং দমকলের রিপোর্ট। এই দুটি রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।’ তবে ইলেক্ট্রিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে, বনকর্তারা এই প্রাথমিক ধারণার কথা আগেই জানিয়েছেন। কিন্তু সেই রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। সবটা নিয়ে এরকম ঢাকঢাক-গুড়গুড় কেন? উত্তর অজানাই থেকে গেল। স্পষ্ট হল না ১৮ জুন রাতের অগ্নিকাণ্ড স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি কোনও চক্রান্ত।
এদিকে, জঙ্গলের কোর এরিয়ায় হওয়ায় বনবাংলো পুনর্নিমাণ করা কিংবা তৈরি করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যা বলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন। এদিন বনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল রাজেশ কুমার, মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি, বক্সা ব্যাঘ্র-প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ণ সিনহা প্রমুখ। বনমন্ত্রী বনবাংলোর রিপোর্ট, কিংবা সম্ভাবনার উত্তর না দিয়ে নিজের, বনকর্মীদের আবেগের কথা বললেন। যাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে বন ও বন্যপ্রাণীদের বাঁচানোর কাজ করেন, তাঁদের পাশে তিনি রয়েছেন।
কিন্তু শুধু আবেগের কথায় এলাকার পর্যটন মহল, বাসিন্দাদের মন ভিজল না। মাদারিহাটের পর্যটন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার কথায়, ‘বাংলোটি পুনর্নির্মাণ নিয়ে বনমন্ত্রীর মুখে আশার কথা শোনা যাবে বলে আমরা ভেবেছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তিনি পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রীর উপর চাপিয়ে দিলেন।’ এবার কি তাহলে উত্তর পেতে তাঁদের অনন্তকাল অপেক্ষা করতে হবে, প্রশ্ন তুলছেন। তাঁর সংযোজন, ‘রিপোর্ট নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের একটাই দাবি, হলং বনবাংলোর আগের রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ‘এই ব্যাপারে বিজেপি সাংসদের উচিত বিরোধিতা না করে বনবাংলো কীভাবে তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে সদর্থক আলোচনা করা দরকার। নোংরা রাজনীতি ঠিক নয়।’ এদিকে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গার কটাক্ষ, ‘তাহলে প্রকৃত তথ্য কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না। সেইসঙ্গে সাংবাদিক এবং আমাকে কেন ঢুকতে দেওয়া হল না।’
এদিন জলদাপাড়া লজ ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহরলাল সাহা বনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি উত্তর খয়েরবাড়ি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসনকেন্দ্রে পর্যটকদের যাওয়ার পথ পুনরায় খুলে দেওয়ার দাবি জানান। বনমন্ত্রী এই ব্যাপারে ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
চোপড়া: প্রবল চাপের মুখে চোপড়ায় (Chopra) যুগলকে নির্যাতনের (Couple Thrashed) ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জেসিবিকে গ্রেপ্তার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সালের পর ফের টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে…
কোচবিহার: কোচবিহারে (Coochbehar) বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় সঠিকভাবে পুলিশি তদন্ত হচ্ছে না। রবিবার…
গাজোল: দুটি বাসের রেষারেষির জেরে প্রাণ গেল এক কৃষকের। রবিবার দুর্ঘটনাটি (Road Accident) ঘটেছে মালদার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি ইউপিএসসি (UPSC Preliminary Exam)। মাত্র…
নয়াদিল্লি: জুনের শুরুতে রিয়াসিতে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাঁচটি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালাল…
This website uses cookies.