উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরবেন বলে জানালেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আর দেশে ফিরেই সমস্ত অপরাধীদের বিচার করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সোমবার রাতে বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে এক ভার্চুয়াল বার্তায় (Virtual speech) একথাই জানিয়েছেন হাসিনা। আওয়ামি লিগের (Awami League) সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকেই এই বার্তাটি সম্প্রচার করা হয়। জুলাই-অগাস্ট মাসে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত পুলিশকর্মীদের (Police officers) পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামি লিগ নেত্রী। তাঁদেরকে সাহায্যের পাশাপাশি ন্যায্য বিচার (Justice) পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন হাসিনা।
গত বছরের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে নিহত হন প্রচুর পুলিশকর্মী। কিন্তু ইউনূসের আমলে তাঁদের পরিবার কোনও বিচার পাচ্ছে না বলে দাবি আওয়ামি লিগের। তাঁদেরকেই সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে হাসিনা নিজের বার্তায় বলেন, ‘আমি আছি। আমি অবশ্যই এর বিচার কোনও না কোনও দিন করব। অন্তর্বর্তী সরকার যতই দায়মুক্তি দিক, কিন্তু হত্যার কোনও দায়মুক্তি হয় না। হত্যার বিচার হয়। আমার বাবা-মা, তিন ভাইকে যখন হত্যা করেছিল, তখনও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি এসে বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম। আর এই পুলিশহত্যার বিচারও আমি করব একদিন।’ এরপরই হাসিনা বলেন, ‘ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন। যখন আমি দেশে ফিরতে পারব, প্রত্যেকটি পরিবারকে সাহায্য করব। হত্যাকারীদের বিচারও করব।’
এদিকে সম্প্রতি অপরাধীদের ধরতে ‘শয়তানের খোঁজ’ বা ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা বাংলাদেশের প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। সেই বিষয়েও নিজের বার্তায় মুখ খোলেন হাসিনা। তিনি বলেন, “এখন শুনছি ওরা ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে। কে ডেভিল? কাকে খুঁজছে? দেশ চালাতে ব্যর্থ এই সরকার। অর্থনীতি সংকটে, আইনশৃঙ্খলা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে, সাধারণ মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই।”
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চালানো হয়েছে অত্যাচার। অতীতের সরকারের ইতিহাস মুছতে তৎপর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। এমনকি গত ৫ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি। এসবের আবহেই হাসিনার দেশে ফিরে ন্যায্য বিচারের বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।