বেলাকোবা: রাজগঞ্জ ব্লকে শিকারপুর চা বাগানে দেবী চৌধুরানী মন্দির সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার কাজের শিলান্যাস করে একথা জানান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
২০১৮ সালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে এই মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব মন্দির পুনর্নিমাণের উদ্যোগ নেন। কাজের তদারকির ভার দেওয়া হয় উদ্যান ও কানন বিভাগকে। সেই বিভাগ থেকে জলপাইগুড়ির এক শিল্পী বিশ্বজিৎ ঘোষ ২০১৯ সালে কাজ শুরু করেন। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় মন্দির নির্মাণের পর গত বছরের ৩০ মার্চ নবনির্মিত এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। তবে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর ছিল না, ছিল না পর্যটকদের জন্য বসার ব্যবস্থাও। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রাজগঞ্জ বিধায়ক তথা গজলডোবা উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় জানান, গজলডোবা উন্নয়ন পর্ষদের ৯১ লক্ষ ৭ হাজার ৪৩৯ টাকায় দেবী চৌধুরানী মন্দির সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বেলাকোবার রাস্তা থেকে মন্দিরে প্রবেশের পথে দুটি সিংহ দুয়ার, মন্দিরের সীমানা প্রাচীর, দুর্গা মণ্ডপ, পর্যটকদের বসার জায়গা, সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মন্দির কমিটি সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ দাস।