আলিপুরদুয়ার: ছাগল চুরি করে পিকনিকের আসর বসেছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধরা পড়ায় বিপত্তি! আলিপুরদুয়ার শহরের অরবিন্দনগর শ্মশান এলাকার ওই আসরে আরও অনেকে থাকলেও মাত্র চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পিকনিকের পর ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল বলে অনুমান পুলিশের। কিন্তু সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়। শুক্রবার তাদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই শ্মশান এলাকায় লোকজন তেমন থাকেন না। সেই সুযোগ নিয়ে জংশন এলাকা থেকে এসে পিকনিকের আয়োজন করেছিল দুষ্কৃতীদের দলটি। দলটিতে একজন নাবালক রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায়। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘দলটির ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের অনুমান। চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। সেইসব চুরির ঘটনার সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ধারালো অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
চলতি বছরে দুর্গাপুজোর কয়েকদিন আগে জংশন কালীবাড়ি মন্দিরে প্রতিমার সোনার অলংকার চুরি হয়। এছাড়া পল্লিমঙ্গল ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি মন্দিরেও চুরির অভিযোগ ওঠে। দিনকয়েক আগে আলিপুরদুয়ার জংশন অফিসার কলোনিতে দুপুরে মোবাইল, এটিএম কার্ড সহ ব্যাগ চুরি হয়। এক রেলকর্মীর বাড়িতেও চুরি হয়। আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশন এলাকা থেকে একাধিক অটো, টোটো চুরি করে জয়গাঁয় পাচার করার অভিযোগও পেয়েছে পুলিশ।
এরপরই আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। তবে তদন্ত চলায় এখনই ধৃতদের নাম প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ। দলটিতে আর কারা রয়েছে, মূল মাথা কে? কোথায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল? কোথায় কোথায় চুরি বা ডাকাতি করা হয়েছে? সেসব জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার শহরে বিশেষ করে আসাম গেট রেলওয়ে ওভারব্রিজের নীচে, জংশন এলাকায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টারগুলিতে অভিযুক্তদের আস্তানা। ফলে তাদের খোঁজ পেতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। অনেকসময় মাদকের খরচের টাকা জোগাড় করতে চুরির অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। সবদিকই খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা।