উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে প্যারিসে ১৭ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে খুন করে পুলিশ। তারপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে সে দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন তরুণ প্রজন্ম। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্রমেই হিংসা, বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে ফ্রান্স। এবার প্যারিসের দক্ষিণে লে-লে-রোসে শহরের মেয়র ভ্যাঁসঁ জঁব্রুর বাড়িতে গাড়ি নিয়ে সজোরে ধাক্কা দিলেন বিক্ষোভকারীরা। তারপর মেয়রের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং এক সন্তান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, শনিবার রাতে বাড়ির ভিতর ঘুমিয়ে ছিল তাঁর পরিবার। তখন গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে সজোরে ধাক্কা দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্যারিসের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জার্মান সফরে যাওয়ার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের রাস্তায় সরকারের তরফে নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিসেই পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীরা বহু দোকান, ইমারত জ্বালিয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে ৪৯২টি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজার গাড়ি। এছাড়াও প্রায় চার হাজার জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মার্সেই শহরের বৃহত্তম গ্রন্থাগারও। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সেই গ্রন্থাগারের বেশির ভাগ বই।