অন্ডালঃ পালিশ করার নাম করে সোনার গয়না হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গ্রেপ্তার করা হল দুই দুষ্কৃতীকে। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশ উদ্ধার করল হাতিয়ে নেওয়া সোনার গয়নাও। জানা গেছে, গত ২২ জুন অন্ডাল থানা রোড ও অন্ডাল মোর সংলগ্ন আবাসন এলাকায় সোনার গয়না পালিশ করাতে দিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন স্থানীয় দুই মহিলা। পালিশ করে দেওয়ার নাম করে মহিলাদের কাছ থেকে গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল অমিত শা ও অমিত কুমার নামে দুই প্রতারক। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রতারকদের চিহ্নিত করে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্ডালের দক্ষিণখন্ড এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জুন সকালে অন্ডাল থানা রোড এলাকায় আসে দু’জন যুবক। সোনার গয়না পালিশ করার কাজ করে বলে পরিচয় দেয় তারা। তাদের কথায় বিশ্বাস করে বেশ কিছু সোনার গয়না তাঁদের পালিশ করাতে দেন বৈশাখী ভট্টাচাৰ্য নামে এক মহিলা। মহিলার চোখে ধুলো দিয়ে সুযোগ বুঝে সব সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুই যুবক। পরের দিন ঐ মহিলা অন্ডাল থানাতে গোটা ঘটনার জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম অমিত কুমার শা ও অমিত কুমার। তারা বিহারের ভাগলপুর জেলার বাসিন্দা। ধৃতরা ঘটনার প্রায় এক মাস আগে থেকে দুর্গাপুরের ক্ষুদিরাম কলোনি এলাকায় ঘাটি গেড়েছিল। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে চায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক তাদের জামিন নাকচ কর পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাতিয়ে নেওয়া গয়নার হদিশ পায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দুটি সোনার চেন, দুটি সোনার আংটি, দুটি সোনার কানের দুল। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় বিহার নম্বরের একটি মোটরবাইক। পুলিশ হেপাজত শেষে বুধবার আবার ধৃতদেরকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয়।