শিলিগুড়ি ও তুফানগঞ্জ: ইউএস ডলারের বদলে মোটা অংকের ক্রিপটো কারেন্সি দেওয়ার নামে ব্যবসায়ীকে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সুরাটের পুলিশ। দিন দশেক আগে শিলিগুড়ির চম্পাসারি মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে সুরাট নিয়ে গিয়েছে সেখানকার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুরাটের ব্যবসায়ীকে প্রায় দুই কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে সুরাটের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ অভিযুক্তের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃত ব্যক্তির নামে সুব্রত দে সরকার। অভিযুক্ত তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জ পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়ীর ক্রিপটো কারেন্সি অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ওই অ্যাপেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয়। এরপর অভিযুক্ত ওই টোপ দেয়। ব্যবসায়ী টোপ গিলতেই অভিযুক্ত টাকা নেওয়া শুরু করে। কিন্তু ব্যবসাযীর অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে বারবার ভুয়ো স্ক্রিনশট পাঠাতে থাকে। সম্প্রতি ব্যবসায়ী ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন কোনও টাকাই তিনি পাননি। এরপরেই তিনি সুরাটের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সুরাটের পুলিশ দিন দশেক আগে তুফানগঞ্জে অভিযুক্তের খোঁজে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত সেখান থেকে পালাতে থাকে। অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রেস করতে করতে শিলিগুড়ির চম্পাসারি মোড় থেকে প্রধাননগর থানার পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সুরাট পুলিশ। এরপর অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে সুরাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের বাড়িতে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ গেলে ঘরে তালা ঝোলানা দেখা যায়। বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযুক্তের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর স্থানীয় বাসিন্দারাও জানতেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, ‘অভিযুক্তের পরিবারে তিন ভাই ও মা রয়েছে। তবে তারা ৬ মাস ধরে বাইরে থাকেন। মাঝে মধ্যে অল্প সময়ের জন্য বাড়িতে আসেন। আবার চলে যান। কয়েকদিন আগেও মা ও ছেলে একটি বড় আকারের ব্যাগ নিয়ে সকালের দিকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।‘